লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় লক্ষ্মী আরাধনা দুরামারি গ্রামে

ওরাওঁ জানান, পুজো উপলক্ষে ইতিমধ্যেই প্রতিটি পরিবারে অতিথির আগমন ঘটেছে। বাড়িতে বাড়িতে চলছে মোয়া মুড়কির পাক।

Must read

আর্থিকা দত্ত, জলপাইগুড়ি: দুর্গাপুজোর থেকেও লক্ষ্মীর আরাধনায় বেশি ধুমধাম ডুয়ার্সের ধূপগুড়ি মহকুমার দুরামারি গ্রামে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা জমিয়ে গ্রামের মহিলারা মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠেন। ধূপগুড়ি শহর থেকে মাত্র তেইশ কিলোমিটার দূরত্বের এই গ্রামে গতবার সর্বজনীন লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল মোট চল্লিশটি। তাও আবার যেমন তেমন নয়, প্রতিমা থেকে শুরু করে মণ্ডপ, আলোকসজ্জা সবকিছুতেই তাক লাগিয়ে দেবার মতো আয়োজন। এবার যেন সেই আয়োজন আরও বিশাল রূপ নিয়েছে। দুরামারির প্রতিটা মানুষ সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন এই লক্ষ্মীপুজোর জন্য, দুর্গাপুজো বা কালীপুজোর জন্য নয়। তাই তাঁরা পুজোর কেনাকাটাও করে থাকেন ধন-সম্পদের দেবীর আরাধনা উপলক্ষেই।

আরও পড়ুন-লক্ষ্মীর সরায় পুজো এখনও টিকে, আশায় শিল্পীরা

সারা গ্রাম ইতিমধ্যেই সেজে উঠছে, পুজো উপলক্ষে রাস্তার দু’পাশে বসেছে বিভিন্ন খাবারের দোকান। কাজের সূত্রে বাইরে থাকা মানুষ ও আত্মীয়স্বজনেরা ফিরে এসেছে গ্রামের বাড়িতে। দুরামারির প্রতিটা মেঠো রাস্তায় ম ম করছে মোয়া ও নারকেলের নাড়ু তৈরির গন্ধ। প্রতিটি বাড়িতে চালের গুঁড়ো গুলিয়ে উঠোন জুড়ে আঁকা হয়েছে ধানের ছড়া, মুদ্রা, আর মা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ। শুধু ডুয়ার্স নয়, আশপাশের চার জেলার মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসে দুরামারির লক্ষ্মীপুজো দেখতে। শুধু পুজোই নয়, পুজোকে ঘিরে প্রতিটা পুজো কর্তৃপক্ষ আয়োজন করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের, বসে গ্রামীণ যাত্রাপালা। চন্দননগর সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আলোকশিল্পীরা আলোকসজ্জা নিয়ে আসেন এই দুরামারি গ্রামে। তৃণমূল থেকে জয়ী হওয়া ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি দীপিকা ওরাওঁ জানান, পুজো উপলক্ষে ইতিমধ্যেই প্রতিটি পরিবারে অতিথির আগমন ঘটেছে। বাড়িতে বাড়িতে চলছে মোয়া মুড়কির পাক। তিনি আরও জানান, শুধু উত্তরের চারটি জেলাই নয়, অসম ভুটান থেকেও দর্শনার্থীরা আসেন এই মেলায়।

Latest article