বাংলার অর্থনীতিকে পাল্টে দিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Must read

প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ভোটে জিতেই সেই ঘোষণা বাস্তবায়িত করেন। সেই থেকে রাজ্যের সামাজিক প্রকল্পগুলির মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। মহিলাদের আর্থিকভাবে সাবলম্বী করে তোলার উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্প আনা হয়। এবার এই প্রকল্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিজিওনাল ডিরেক্টর সুধাংশু প্রসাদ।

আরও পড়ুন-রাস্তার দু’ধারে জনস্রোত, গাড়ি থামিয়ে হেঁটে সকলের কাছে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী

সুধাংশু প্রসাদের কথায়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাংলার অর্থনীতিকে অনেকটাই পাল্টে দিয়েছে। মঙ্গলবার বীরভূমের সিউড়িতে ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের নিয়ে একটি কর্মসূচি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্পের প্রশংসা করেন তিনি। সেখানে একাধিক ব্যাঙ্কের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিজিওনাল ডিরেক্টর বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সারা বাংলার ব্যাঙ্কের গতি পাল্টে দিয়েছে। তাঁর ভাষায়, সারা বাংলায় পাঁচ কোটি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন লক্ষ্মীদিদিরা। সারা বছরে ব্যাঙ্কে ২৫ হাজার কোটি টাকা জমা পড়ছে। তাঁদের জন্য সব ব্যাঙ্ক ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিতে প্রস্তুত। কারণ মেয়েরা কখনও ঋণখেলাপি হয় না। উল্লেখ্য, রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি মহিলারা পান লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের আওতায় তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা মাসে ১২০০ এবং সাধারণ সম্প্রদায় অর্থাৎ জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পান।

Latest article