সংবাদদাতা, কাটোয়া : ছাঁচে লক্ষ্মী গড়েন লক্ষ্মীঠাকরুন। তাতেই ‘লক্ষ্মীলাভ’। দেদার বিক্রি হচ্ছে ছোট-বড়-মাঝারি লক্ষ্মী। বিক্রির বহরে চওড়া হাসি লক্ষ্মীর। কাটোয়া শহরের পানুহাট বসন্তপল্লির লক্ষ্মী পালকে এলাকাবাসী নাম দিয়েছেন ‘লক্ষ্মীঠাকরুন’। শুরুটা হয়েছিল বছর ১৮ আগে। তার বছরদুয়েক আগে এলাকার ভোলানাথ পালের সঙ্গে বিয়ে হয় কালনা শহরের পালপাড়ার লক্ষ্মীর। ভোলানাথ সোনা-রুপোর দোকানে কাজ করতেন। তাতে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। ভোলানাথের বাবা শীতল পাল মাটির ভাঁড়, ছোট ঠাকুর গড়তেন।
আরও পড়ুন-ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অভিনব পরিকল্পনা
সংসার চালাতে শ্বশুরের পেশাকেই আঁকড়ে ধরেন লক্ষ্মী। শুরুতে মাটির ভাঁড় গড়তেন। তাতে লাভ তেমন হত না। শেষমেশ ছাঁচে লক্ষ্মী গড়া শুরু করেন। লক্ষ্মীদেবীর গড়া লক্ষ্মী প্রতিমা এতটাই সুন্দর আর নিখুঁত যে, চাহিদা বাড়তে থাকে হু হু করে। দ্রুত নাম ছড়ায়। শুধু কাটোয়া মহকুমাই নয়, লক্ষ্মীদেবীর লক্ষ্মী প্রতিমা কিনতে লাগোয়া মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলা থেকেও বরাত আসে। রং দেওয়া, চোখ আঁকা, সাজ পরানো সবই নিজের হাতে করেন লক্ষ্মী। ইদানীং সমস্যা হওয়ায় বছর পাঁচেক আগে সোনা-রুপোর দোকানের কাজ ছেড়ে লক্ষ্মীকে সাহায্য করা শুরু করেন তাঁর স্বামী ভোলানাথ। পসার বাড়ায় এখন কারখানা গড়েছেন লক্ষ্মীঠাকরুন। বললেন, ‘‘করোনার জন্য বছরদুয়েক চাহিদা কম ছিল। গত বছর থেকে চাহিদা তুঙ্গে।’’ আর ভোলানাথের উচ্ছ্বাস, ‘‘ও আমাদের পরিবারের জ্যান্ত লক্ষ্মী।’’