৫ লক্ষ বেড়ে নয়া রেকর্ড লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের, ১৫-৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে আবাসের টাকা দেবে রাজ্য

Must read

প্রতিবেদন : নতুন রেকর্ড স্পর্শ করল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প। নতুন বছর শুরু হওয়ার আগেই ওই প্রকল্পে আরও ৫ লক্ষের বেশি মহিলার নাম যুক্ত করা হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন।
২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প। যা এখন গোটা দেশের কাছে অনুপ্রেরণা। এই আবহে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নতুন করে আরও ৫ লক্ষ ৭ হাজার মহিলাকে যুক্ত করা হচ্ছে। এঁরা সকলেই আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে ভাতা পাবেন। ফলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মোট উপভোক্তার সংখ্যা বেড়ে হচ্ছে ২ কোটি ২১ লক্ষ। যার ফলে রাজ্য সরকারের খরচ বেড়ে হবে ৬২৫ কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্য রাজ্যও এখন লক্ষ্মী ভাণ্ডারের আদলে প্রকল্প চালুর চেষ্টা করছে। তবে সেই সব রাজ্যে অনেক শর্ত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে একটা পরিবারে ৪ জন মহিলা থাকলেও টাকা পান। দেশের কোনও রাজ্যে এত মহিলা একসঙ্গে এত সুবিধা পান না।
শুধু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়, নতুন বছর শুরুর আগেই বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা, শস্যবিমা, মানবিক প্রকল্পেও বিপুল সংখ্যক মানুষের নাম যুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, আরও ৪৩ হাজার ৯০০ জন স্বামীহারা মহিলাকে বিধবা ভাতা দেওয়া হবে। এখন রাজ্যজুড়ে ২০ লাখ ৩২ হাজারেরও বেশি বিধবা ভাতা পান। প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা রাজ্য সরকার খরচ করে এর জন্য। চলতি ডিসেম্বর মাস থেকে ১৯ হাজারের বেশি মানুষকে দেওয়া হবে মানবিক ভাতা। প্রতিবন্ধীদের এই ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন- লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়ানোর আর্জি, খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিজেপি সাংসদের

বাংলা শস্যবিমা সম্পর্কে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে শস্যবিমা প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ২ লক্ষ কৃষক রয়েছেন। তাঁদের জন্য ৩ হাজার ২২১ কোটি টাকা সহায়তা করা হয়েছে। পাশাপাশি কৃষকবন্ধু ২০২৪-২৫ রবি মরশুমের জন্য ১ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার কৃষককে দেওয়া হবে মোট ২ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা। ডিসেম্বর মাস থেকেই এই টাকা মিলবে। উপনির্বাচনের গেরোয় সমীক্ষা বিলম্বিত হলেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই আবাস যোজনার প্রাপকদের প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নয়, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে টাকা দিয়ে যে ১২ লক্ষ মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে তার নাম হবে ‘বাংলার বাড়ি’। তিনি স্পষ্ট ভাবেই জানিয়েছেন, গত কয়েকবছর ধরে বাংলার গরিব সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষকে ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কোথাও শর্ত দেখিয়ে, আবার কোথাও সব শর্ত পূরণ করার পরও অর্থ না দিয়ে বাংলার মানুষকে আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু বাংলার সরকার তেমন কিছু করবে না। তিনি জানান, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে লক্ষ্য একটাই, গরিব মানুষকে বাড়ি দেওয়া। ১৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। গরিব মানুষ নিশ্চিতভাবে বাড়ি পাবেন।

Latest article