সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়া: গ্রামীণ এলাকার পুজোভাবনাতেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্প মহিলাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই এটাকেই পুজোভাবনা হিসেবে তুলে ধরেছেন উলুবেড়িয়া ও বাগনানের উদ্যোক্তারা। উলুবেড়িয়ার আশা ভবন সেন্টারের পুজোয় আমন্ত্রণপত্র থেকে মণ্ডপ– সবেতেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ছোঁয়া। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের এই প্রতিষ্ঠানের পুজো এবার ১১ বর্ষে। মণ্ডপ গড়ে তোলা হয়েছে লক্ষ্মীর ভাঁড়ের আদলে।
আরও পড়ুন-বিল্ববৃক্ষে দেবীং বোধয়েৎ
আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে একটি ১৪ ইঞ্চি লম্বা কাঠের লক্ষ্মীর ভাঁড় রয়েছে। ভাঁড়ে রয়েছে দুর্গার ছবি। সাযুজ্য রেখে মণ্ডপে রাখা লক্ষ্মীর ভাঁড় ও কাঠের পেঁচা। চতুর্থীর সন্ধ্যায় পুজোর উদ্বোধন করেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়। ছিলেন বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজি, বিধায়ক সুকান্ত পাল, বিদেশ বসু, জেলাশাসক মুক্তা আর্য প্রমুখ। আশা ভবন সেন্টারের অধিকর্তা জন মেরি বারুই জানান, ‘ভাবনা ফুটিয়ে তোলার পুরো কাজটাই করেছেন এখানকার প্রতিবন্ধী আবাসিকরা।’ বাগনানের নবাসন ইয়ং স্টার ক্লাবের পুজোভাবনাতেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। পুজো এবার ৩১ বর্ষে। প্রায় ৫০ ফুট উচ্চতার মণ্ডপ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে। চূড়ায় ৫০০ টাকার প্রতীকী নোট। সম্পাদক অভিজিৎ রায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পকে ঘিরে মহিলাদের উৎসাহ তুঙ্গে। সে কথা মাথায় রেখেই আমরা পুজোভাবনা হিসেবে এটিকে তুলে ধরছি। নবমীর দিন আমরা দুঃস্থ মানুষদের বস্ত্র বিতরণ করব।’