প্রতিবেদন : কিছুকাল আগেও প্রায় প্রতিটি বাড়িতে দেখা যেত মাটির তৈরি টাকা জমানোর ভাঁড়ের ব্যবহার। যাকে সবাই বলতেন লক্ষ্মীর ভাঁড়। এক সময় বেশিরভাগ বাড়িতেই দেখা যেত এই ভাঁড় লক্ষ্মীর আসনের পাশে বসানো আছে। তাই এমন নামকরণ। আর সেই ভাঁড়েই বছরভর টাকাপয়সা জমাতেন বাড়ির মানুষ। তবে কালক্রমে এর ব্যবহার বেশ কমে যায়। মাটির ভাঁড়ের বদলে টিন বা প্লাস্টিক, ফাইবারের কৌটো চালু হয়েছিল টাকা জমানোর উদ্দেশ্যে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে, মফসসলের মহিলাদের মধ্যে খুচরো টাকা জমানোর এই প্রবণতা ছিল।
আরও পড়ুন-পুজোর মধ্যে ডাকা যাবে না অভিষেককে, ইডিকে স্পষ্ট বার্তা হাইকোর্টের
আধুনিকতার ছোঁয়ায় পুরনো প্রথার বদল ঘটলেও আজও কিছু কিছু পুজোর আগে মাটির লক্ষ্মীর ভাঁড় বিক্রি হয় কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায়। আর এই ভাঁড় তৈরি করেই আজও সংসার চালান জেলার মারুগঞ্জের বেশ কিছু মৃৎশিল্পী। তাঁরা দীর্ঘদিন লক্ষ্মীর ভাঁড় তৈরির কাজ করেন। বর্তমানে এই ভাঁড়ের চাহিদা নতুন করে বেড়েছে গাঁ-গঞ্জের মা-বোনেদের মধ্যে। এর কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত সরকারি প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জনপ্রিয়তা। যদিও এই প্রকল্পের টাকা সরাসরি বাংলার মেয়েদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই চলে যায়, তবু এই প্রকল্পের দৌলতেই ফিরে এসেছে লক্ষ্মীর ভাঁড় কথাটি এবং বেড়েছে তা ব্যবহারের প্রবণতাও। স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে লক্ষ্মীর ভাঁড়ের বিক্রিও। আর এর জন্য রোজগার বেড়েছে মৃৎশিল্পীদেরও। মারুগঞ্জের লক্ষ্মীর ভাঁড় নির্মাতা নীলিমা পাল বলেন, বিয়ের পর থেকেই এই কাজে হাত দিয়েছি। শ্বশুরবাড়িতে এসেই কাজ শিখেছি। তারপর থেকেই চলছে। মাঝে এর চাহিদা কমলেও আবার বেড়ে যাওয়ায় সংসারেও দুটো বেশি টাকা আসছে।