সংবাদদাতা, রামপুরহাট : জনরোষের মুখে রাতের অন্ধকারে পাততাড়ি গুটিয়ে কলকাতামুখো সিবিআই। বুধবার সকালেই অস্থায়ী শিবির পান্থশ্রী ফাঁকা। এদিন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের পর লালনের (Lalan Sheikh death) দেহ আসতেই পরিবারের লোকজন কান্নায় ও প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রামবাসীরা সিবিআই ক্যাম্পে পৌঁঁছে যান। মৃতদেহ রেখে চলে ধস্তাধস্তি। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় সিআইডি (Lalan Sheikh death) তদন্তভার নেওয়ার খবর পেয়ে ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত হয়। প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন নিয়ে সিবিআইকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। বেলা দেড়টার পর গ্রামেই কবরস্থ করা হয়। রাজ্য সিআইডির আইজি সুনীলকুমার চৌধুরির নেতৃত্বে একটি দল সিবিআই ক্যাম্পে যায়। সরেজমিনে তদন্তের পর তাঁরা ফের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও অন্য আধিকারিকরা বৈঠক করেন। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, সিআইডি তদন্ত করছে। রেশমার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ যে এফআইআর করেছে, তাতে সাতজন সিবিআই আধিকারিকের নাম আছে। এর মধ্যে গরুপাচার মামলার তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য এবং স্বরূপ ভট্টাচার্যের নামও রয়েছে। মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন থাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও তুলেছে পরিবার।
আরও পড়ুন-সমুদ্র-ভাঙন ঠেকাবে আধুনিক প্রযুক্তি হবে ড্রেজিংও জানালেন সেচমন্ত্রী