তরুণী চিকিৎসককে যৌন হেনস্থার (sexual assault) পর খুনের ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে গোটা শহর। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় গলদ প্রকাশ্যে এসেছে। হাসপাতালের মধ্যেই এমন নৃশংস ঘটনায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছেন বাকি চিকিৎসকরা। সেমিনার হলে সিসিটিভি ছিল না। তাছাড়া হাসপাতালের অনেক জায়গায় সিসিটিভি থাকলেও ক্যামেরা অকেজো। অন্যান্য অনেক হাসপাতাল এবং সরকারি হোমগুলিতে একই অবস্থা। এই অবস্থায় সব থানার পুলিশকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হল লালবাজারের তরফে।
আরও পড়ুন-ওড়িশার হাসপাতালে রোগিনীকে যৌ.ন হেনস্থা চিকিৎসকের
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সমস্ত হাসপাতাল, হোমের সিসিটিভি নির্দিষ্ট সময়ে খতিয়ে দেখতে হবে। ১৫ দিনের অন্তর এই সমস্ত সিসিটিভি খতিয়ে দেখতে হবে। ৩০ দিনের ফুটেজ যাতে সংরক্ষণ করা যায় তেমন ব্যবস্থা করতে হবে। আর জি করে সেমিনার হলে সিসিটিভি ছিল না ফলে ঘটনার সময় আরও কেউ ছিল কিনা সেটা জানতে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে পুলিশ। সিসিটিভি থাকলে তদন্ত অনেকটাই সহজ হয়ে যেত।
আরও পড়ুন-রাতের মিছিল নিয়ে চড়া সুরে নাটকের অপচেষ্টা
লালবাজার সূত্রে খবর আরজি কর হাসপাতালে ২১০টি সিসিটিভি আছে। কিন্তু বড় সংখ্যক সিসিটিভি অকেজো। প্রায় ৪৮টি মতো সিসিটিভি বিকল। তবে এই ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে কোন খামতি রাখতে চাইছে না পুলিশ। এর ফলেই এই বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই খবর।