অপমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের করণীয় নিয়ে গত মাসে ২৭ দফা এক নির্দেশিকা কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) প্রতিটি থানায় পাঠানো হয়েছে। পুলিশকর্মী থেকে বড় আধিকারিক, সকলকে এই নিয়মের আওতায় আনা হয়েছে। দেহ উদ্ধারের খবর পেলে এবার ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্দেশিকা মেনেই কাজ করা হচ্ছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যু, খুন বা দেহ উদ্ধারের খবর এলে পুলিশ অফিসারকে প্রাপ্ত তথ্য জিডি-তে রেকর্ড করতে হবে। কী ভাবে সেই তথ্য তিনি জানতে পেরেছেন, কে তথ্য দিয়েছেন এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের বিবরণ, সব জিডি-তে লিখে তারপরে ঘটনাস্থলে যেতে হবে। মৃতের পরিবার থাকলে তাদের থেকে লিখিত অভিযোগ নিতে হবে। পরিবার না থাকলে সেখানে উপস্থিত কোনও ব্যক্তির থেকে লিখিত অভিযোগ নিতে হবে। এর পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আধিকারিকের অনুমোদন করিয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারকে থানায় গিয়ে এফআইআর করতে হবে। এফআইআর লিখে সেই নম্বর নিয়ে ঘটনাস্থলে ফিরে যেতে হবে।
আরও পড়ুন-ফের কুম্ভ বিভ্রাট, বেলুন বিস্ফোরণে ঝলসে গেলেন ছয় পুণ্যার্থী
লালবাজার তরফে খবর, ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই গোয়েন্দা বিভাগ, ওসি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় সেই খবর জানিয়ে দিতে হবে। ঘটনাস্থলে একজন পুলিশ অফিসারকে নিতে হবে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে পিও কর্ডনিং টেপ দিয়ে জায়গাটি ঘিরে ফেলতে হবে। সেখানকার ছবি তুলতে হবে। টেপ না থাকলে দড়ি, গার্ডরেল ইত্যাদি ব্যবহার করে জায়গা ঘিরতে হবে। পুলিশকর্মীদের পাহারায় থাকতে হবে, যাতে বাইরের কেউ সেখানে প্রবেশ করতে না পারে। সাক্ষী ছাড়া বাকিদের সরিয়ে দিতে হবে। পুলিশ অফিসার মৃতের ছবি ও ভিডিয়ো তুলবেন। মৃতদেহ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার ব্যবস্থা করতে হবে। ঘটনাস্থল থেকে সব কিছু বাজেয়াপ্ত করতে হবে ও ভিডিয়ো করে রাখতে হবে। সব জিনিস ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো না গেলে সেটা থানার মালখানায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন-কলকাতার আদালত চত্বর থেকে দেহ উদ্ধার পুলিশকর্মীর, শুরু তদন্ত
ময়নাতদন্তের জন্য যে সব জায়গায় অনুমতি নেওয়া দরকার সেটাও করে নিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পরে অর্থাৎ বিকেল ৪টের পরে ময়নাতদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রয়োজনীয় অনুরোধপত্র পাঠাতে হবে। উপ-নগরপালের কাছ থেকেও অনুমতি নিতে হবে। বিতর্ক এড়াতে সব অফিসারকে ওই নির্দেশিকা মানতে হবে। থানার ওসিদের নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা সেই দিকে নজর রাখতে হবে।