প্রতিবেদন : সাংসদ তহবিলের টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে। গোবরডাঙা ও হরিণঘাটার স্কুলগুলিতে সাংসদ তহবিল প্রদান করার ব্যাপারে বিদায়ী সাংসদের দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এবং পাঁচপোতা নিয়েও একইরকম অসঙ্গতি সামনে এসেছে। এরপর শান্তনু ঠাকুরের সাংসদ তহবিল দুর্নীতির পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছে তৃণমূল। বনগাঁর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, শান্তনু ঠাকুর সাংসদ থাকাকালীন ২৫ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। তিনি এই টাকা লুটপাট করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
আরও পড়ুন-বাংলায় এসে মেরুকরণ, অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে সপাট জবাব তৃণমূলের
বনগাঁয় সাংসদ তহবিলের টাকায় উন্নয়ন নিয়ে শান্তনু ঠাকুরের দাবি অস্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক। সংসদ সদস্য হিসাবে তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদে তিনি কোন কোন কাজ করেছেন, তা লিফলেট আকারে প্রচার করেছিলেন। তার মধ্যে পাঁচপোতা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি আধুনিক স্মার্ট ক্লাসরুম স্থাপনের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুষার বিশ্বাস সেই দাবি অস্বীকার করেন। তিনি জানান, এই ধরনের তহবিল পাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এক ভিডিও বার্তায় প্রধান শিক্ষক বলেন, একটি স্মার্ট ক্লাসরুম নির্মাণের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে— কিছু মাস আগে এরকম একটি ইমেল বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। কিন্তু, সেই তহবিল এখনও আমাদের বিদ্যালয় পায়নি। ফলস্বরূপ, স্মার্ট ক্লাসরুম প্রকল্পটি অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে। বনগাঁয় বিদায়ী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মিথ্যা দাবি সামনে আসার পর প্রতিবাদে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। শান্তনুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে পূর্ণ তদন্ত দাবি করেন বনগাঁর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস।