চলতি বছরে দেশজুড়ে অনেকাংশেই বেড়েছে ধসের মাত্রা। রবিবার হিমাচলে (Himachal) পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে গাড়ির উপর পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও তিন জন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এবার কেরলের ওয়েনাড় (Wayanad) জেলার বেশ কয়েকটি পাহাড়ি এলাকায় ধস নামল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আচমকা এই ধসের ফলে মৃত্যু হয়েছে এক বছরের শিশু-সহ সাত জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই বিপর্যয়ে কয়েকশো মানুষ আটকে থাকতে পারেন বলে মনে করছে প্রশাসন। অনেকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন-আজ জিতলেই হোয়াইটওয়াশ
কেরলের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে খবর ঘটনাস্থলে দমকল এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে সহায়তা করতে আরও একটি এনডিআরএফ টিমকে ওয়েনাড়ে পাঠানো হচ্ছে। কান্নুর ডিফেন্স সিকিউরিটি কোরের দুটি টিমকেও ওয়েনাড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। উদ্ধারকাজে নামছে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সব সরকারি এজেন্সিকে উদ্ধারকাজে সাহায্য করার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু যেহেতু বৃষ্টি এক নাগাড়ে হয়েই চলেছে তাই উদ্ধারকাজে অনেকটাই বেগ পেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন-২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফের ট্রেন দুর্ঘটনা, ঝাড়খণ্ডে বেলাইন মুম্বইগামী ট্রেনের ১৮টি বগি
প্রসঙ্গত, ওয়েনাড়ের মেপ্পাদির কাছে বেশ কয়েকটি পাহাড়ি এলাকায় ধস নেমেছে। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে সোমবার রাত ১ টা নাগাদ মুন্ডাক্কাই টাউনের কাছে প্রথম ধস নামে। এর তিন ঘণ্টা পরে দ্বিতীয় ধস একটি স্কুলের কাছে নামে। আশপাশের বাড়ি এবং দোকানের মধ্যে জল এবং কাদা ঢুকে যায়। সামনেই একটি ব্রিজও ভেঙে পড়েছে। কমপক্ষে ৪০০টি পরিবার এর ফলে আটকে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হয়েছে উদ্ধারকাজ। প্রচুর গাড়ি ভেসে গিয়েছে। ক্রমাগত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বৃষ্টির জেরে প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে আগেই সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। জরুরী সহায়তার জন্য, স্বাস্থ্য বিভাগ একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং দুটি হেল্পলাইন নম্বর প্রদান করেছে: ৯৬৫৬৯৩৮৬৮৯/ ৮০৮৬০১০৮৩৩।