প্রতিবেদন: আবার ধস উত্তরাখণ্ডে। কেদারনাথ যাওয়ার রাস্তায় ধস নেমে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। জখম হয়েছেন অনেকে। কয়েকদিনের ব্যবধানে আবার একই ধরনের ঘটনা ঘটল এই পাহাড়ি রাস্তায়৷ বিপর্যয়ের শুরু রাতেই। লাগাতার বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে কেদারনাথ যাওয়ার রাস্তায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ধস নামে৷ তখন সকলেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ধসে চাপা পড়ে মৃতদের সকলেই নেপালের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে৷ গত ৩১ জুলাই কেদারনাথের রাস্তায় বিপর্যয়ের পর, এটি দ্বিতীয় বড় দুর্ঘটনা ওই অঞ্চলে৷ আজকের এই ধসের ঘটনায় আরও চারজনকে উদ্ধার করে রুদ্রপ্রয়াগ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
রুদ্রপ্রয়াগ জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিক নন্দন সিং রাজওয়ার জানিয়েছেন, রাত প্রায় ১টা ২০ মিনিট নাগাদ আমরা ধস নামার খবর পাই৷ তারপরেই দ্রুত বাহিনীর সদস্যদের সেখানে উদ্ধারকাজে নামিয়ে দেওয়া হয়৷ অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে রুদ্রপ্রয়াগের ফাটা হেলিপ্যাডের কাছে খাত গাদের এলাকায় হাইওয়েতে ধস নামে৷ মৃত্যু হয় ৪ জনের। মৃত চারজনের পরিচয় জানা গিয়েছে৷ মৃতেরা সকলে নেপালের চিটন অয়েল নারায়ণীর বাসিন্দা৷ মৃতেরা হলেন, হরক সিং বাহাদুরের ছেলে টুল বাহাদুর, পূর্ণ নেপালি, কৃষ্ণা পারিহার এবং চেকু বুড়া৷ এছাড়াও রুদ্রপ্রয়াগ জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দেহেখ, আঁচল, কর্নালি এবং নেপাল৷ মনে করা হচ্ছে এঁরা সবাই একে অপরের সঙ্গেই ছিলেন৷
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
লক্ষণীয়, গত ৩১ জুলাই রাতে কেদারনাথ যাওয়ার পায়ে হাঁটা রাস্তায় ভয়াবহ ধস নেমেছিল৷ আটকে পড়া বহু তীর্থযাত্রী এবং স্থানীয় লোকজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রশাসন৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের ভূমিকায়। কেন রাস্তা দ্রুত মেরামতির ব্যবস্থা করা হচ্ছে না— ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তা নিয়ে। কেদারনাথ যাওয়ার পায়ে হাঁটা রাস্তার অনেক জায়গা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে৷ ওই অঞ্চলে বহু মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন৷ সোনপ্রয়াগ এবং গৌরীকুণ্ড সড়কও ধসে বিপর্যস্ত।