আর্থিকা দত্ত, কালিম্পং: টানা বৃষ্টির জেরে ভোগান্তি অব্যাহত পাহাড়ে। মঙ্গলবার ধসে ফের বন্ধ হল একাধিক রাস্তা। যান চলাচল বন্ধ গিয়েছে কালিম্পং এবং পানবু সড়কে। গরুবাথান থেকে মংপং সড়কের পরিস্থিতিও যথেষ্ট খারাপ। যেকোনও সময় রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলার সীমানাঘেঁষা কালিম্পং জেলার গরুবাথান অঞ্চলের যুদ্ধ বীর উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে যাবার পথে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। ফাগু ঝোরা পেরোতে গিয়ে একটি ছোট গাড়ি হড়পা বানের জলে আটকে যায়।
আরও পড়ুন-বোলপুরে যানজট রুখতে রাজ্যের পদক্ষেপে খুশি নোবেলজয়ী অমর্ত্য
এর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গাড়িতে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। তবে স্থানীয় মানুষ এবং প্রশাসনের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় আটকে পড়া পড়ুয়াদের। এদিকে মালবাজারেও পরিস্থিতি ভয়াবহ, সামলাতে নামল সেনা। ভুটান পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জেরে জল বেড়েছে চেল, লিস, ঘিস, ডায়না, জলঢাকা-সহ বিভিন্ন নদীতে। রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে ধূপগুড়ি শহর-সহ গোটা ডুয়ার্স জুড়ে। মালবাজারের লিস নদীর জল ঢুকে পড়েছে গ্রামে। ওয়াসাবাড়ি ও চান্দাবাড়ি গ্রামেও ঢুকছে জল। পাহাড়ের দার্জিলিঙের জোড়বাংলো-তিস্তা রোডে ৩ মাইল থেকে ৬ মাইলের মধ্যেও ভূমিধসের খবর পাওয়া গিয়েছে। লেক বিপর্যয়ের পর ৯ মাস পার হলেও ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক কেন ঠিক করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এদিকে, মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে দুর্ভোগ এখনই যে কমছে না, তা একপ্রকার স্পষ্ট। বেশ কয়েকদিন ধরেই বন্ধ ১০ নম্বর দাতীয় সড়ক। দার্জিলিং-কালিপঙের যোগাযোগ প্রায় বন্ধ।
আরও পড়ুন-অবশেষে সরকারি স্বীকৃতি পেল বাঁকুড়ার যন্ত্রচালিত ঢেঁকি
এর মধ্যে মঙ্গলবার নতুন করে ধস নামায় আরও সমস্যা তৈরি হয়েছে। একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। ধসের জেরে এদিন তিস্তা থেকে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। সতর্ক করা হয়েছে পর্যটকদের। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং ও কালিম্পঙেও ভারী বৃষ্টি চলছেই। তিস্তা, জলঢাকা-সহ একাধিক নদীতে জলস্তর বেড়েছে। এরই মধ্যেই ঘটল ভয়ঙ্কর ঘটনা। পাহাড়ি নদীর জলে আটকে যায় একটি স্কুল বাস।