আর মাত্র ক’দিন। ভুলে যাও সব কিছু। গত দেড় দু’বছর ধরে তুমি ডব্লুবিসিএস (WBCS) হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে যা প্রিপারেশন নিয়েছ, এখন তারই অগ্নিপরীক্ষা। প্রিলিমিনারি ডব্লুবিসিএসের (WBCS) প্রথম ধাপ। তোমার এখনও কয়েক ধাপ পেরোতে হবে। সেইসব ভুলে গিয়ে শুধু প্রিলিমিনারির সাফল্যকে পাখির চোখ করো। মনে মনে এই দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস আনো নীরজ চোপড়ারা যদি এত কঠিন পথ পেরোতে পারে, তাহলে আমাকেও পারতে হবে। এখানে কোনও কিছুর সঙ্গে আপস নয়, জীবনে একজন ডব্লুবিসিএস (WBCS) হওয়ার লক্ষ্যপূরণ করতেই হবে। সম্মান খ্যাতি এবং মর্যাদার জীবনে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য এটা। প্রতিযোগিতায় সফল হওয়া।
সবার জানা হয়ে গেছে প্রশ্নসংখ্যা ২০০, মোট নম্বর ২০০, সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এই সময়ের মধ্যেই তোমাকে প্রমাণ করতে হবে বা প্রশ্নকর্তাদের জানান দিতে হবে তুমি সঠিক উত্তর দিয়েছ। এই সঠিক উত্তর দেওয়ার ওপরই নির্ভর করছে পরীক্ষা ক্র্যাক করা। অর্থাৎ, তুমি প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় পাচ্ছ ৪৫ সেকেন্ড। প্রতিটা সেকেন্ড তোমার কাছে মূল্যবান। চাই গতি, চাই সঠিক উত্তর।
এই হাতেগোনা সময়টাতে নিজেকে নিঙড়ে দাও। সাফল্যের আনন্দ সব কষ্টকে ভুলিয়ে দেয়। দিনে গোটা সময়টাকে তিনভাগে ভাগ করে নাও। সাবজেক্ট ওয়াইজ রিভিশন দিতেই হবে। সেই সঙ্গে চাই নিজেই মকটেস্ট দিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো। সময় ম্যানেমেন্ট কথাটা মাথায় রাখা। ম্যাথস, জিআই, ইংরেজি, ইতিহাস, সংবিধান যেমন রিভিশন দেবে ঠিক তেমন ভাবেই জোর দিতে হবে কিন্তু কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের মতো বিষয়েও। এতে নম্বর ভাল ওঠে। গত দশ-পনেরো বছরের কোশ্চেন-আনসার খুব ভালভাবে মুখস্থ থাকা চাই।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে গুগল ডুডলে কুস্তিগীর গামা
১) সারা বছর শিক্ষকরা যা পড়িয়েছেন তা তো পড়েছই, এখন এটা তোমার সময়। একদিকে রিভিশন, অন্যদিকে নিজের মনোবল বাড়ানো। তোমার আত্মবিশ্বাস এবং নীরজ চোপড়া, পি ভি সিন্ধুদের মতো দৃঢ় মানসিকতাই এনে দেবে সাফল্য। মনে রেখ কনভিডেন্ট এবং নিজের মনকে ‘বুস্টআপ’ করাটাও কিন্তু অনুশীলনের মধ্যে পড়ে।
২) প্রশ্নপত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সঠিক উত্তর নির্বাচন ও নির্দিষ্ট পরীক্ষা শিট পূর্ণ করতে হবে। প্রথমেই জানা উত্তরগুলো দিয়ে দিতে পারলে পরে সংশয় কাটিয়ে সঠিক উত্তর দেওয়ার সাহস পেয়ে যাবে।
৩) ভয় এবং উদ্বেগ সবসময় ডব্লুবিসিএস-এর প্রার্থীদের একটা দুর্বলতা। ভয় এবং উদ্বেগ পুরোপুরি খারাপ নয়। যতক্ষণ না তারা পরীক্ষায় শেখার এবং ভাল করার ক্ষুধা বাড়ায়।
৪) মক পরীক্ষাগুলি আপনাকে তোমার ভুলগুলি বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করে যখন আপনার এখনও সেই ভুলগুলি সংশোধন করার সময় থাকে। এটি তোমাকে বিষয়টির পুনরায় সংশোধন করতে এবং সেই ভুলগুলি কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে তা বুঝতে সহায়তা করে। তোমার ভুলগুলি সংশোধন করে এবং নিয়মিতভাবে মক টেস্ট দিলে আত্মবিশ্বাসের স্তর এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিকে বাড়িয়ে তোলে।
৫) ডব্লুবিসিএস পরীক্ষা চমকে পূর্ণ। কয়েক বছর আগে একটি পেপার স্ট্যাটিক অংশের দিকে খুব বেশি ঝুঁকেছিল যখন প্রত্যাশা বিপরীত ছিল (কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স থেকে আরও প্রশ্ন)। এই একটি বিস্ময় অনেকের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে যারা কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সে বেশি মনোযোগ দিয়েছে। কিন্তু প্রশ্নপত্র সাবধানে বিশ্লেষণ করলে, তুমি বুঝতে পারবে যে কেউ সহজেই অনেকগুলি প্রশ্ন খুঁজে পেতে পারে যা পরীক্ষার নম্বর বাড়াতে সাহায্য করবে।