বুধবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Kheri) পুলিশের সামনেই বিধায়ক যোগেশ বর্মার উপরে চড়াও হন এক আইনজীবী। সেই সময় বিধায়কের অনুগামীরা তাকে ধরে পালটা কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন।ইতিমধ্যেই সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তাঁদের সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে যোগীর পুলিশকে। খেরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) পবন গৌতম জানান আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা একেবারে স্বাভাবিক আছে বললেও এভাবে পুলিশের সামনেই নিগ্রহ রীতিমত নিন্দার বিষয় হয়ে উঠেছে দেশজুড়ে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।
জানা গিয়েছে, সমস্যার সূত্রপাত হয় আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে। বুধবার সকালে লখিমপুর খেরির বিজেপি বিধায়ক এবং আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন পুষ্পা সিংয়ের স্বামী তথা খেরি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অবধেশ সিংয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। ক্রমশ বাড়ছে থাকে উত্তাপ। এরপরেই সপাটে বিধায়ককে থাপ্পড় মেরে দেন খেরি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। ভিডিয়োয় স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, বিধায়ক এবং অবধেশ একে অপরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ও বিধায়ক উত্তেজিত হয়ে কিছু বলছেন। দু’জনে যখন কাছাকাছি চলে আসেন, সেইসময় তাঁদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে এক পুলিশ অফিসার চলে আসেন। তিনি আটকানোর চেষ্টা করলেও চোখের নিমেষে বিধায়ককে চড় মেরে দেন অবধেশ।
আরও পড়ুন-বর্ধমানে ৪ মহকুমায় ই-সাইকেল টিম
এরপরেই বেড়ে যায় হাতাহাতির মাত্রা। প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই অবধেশ তেড়ে ওঠেন। সেই সময় তাকে ঠেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ অফিসাররা। তবে বিধায়ক তেড়ে যান। অবধেশ এই অবস্থায় ফের বিধায়কের গায়ে হাত দেন। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হলেও তাঁদের দূরে সরানোর চেষ্টা করেন পুলিশ অফিসাররা। পিছন থেকে বিধায়কের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন আরও একজন ব্যক্তি। বিধায়কের মাথার পিছনে মারেন তিনি। সেটা দেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন বিধায়কের অনুগামীরা। পুলিশের সামনেই ওই ব্যক্তিকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়। সবমিলিয়ে চূড়ান্ত অরাজকতার সৃষ্টি হয় ওই চত্বরে।