প্রতিবেদন : খেলাটা আসলে মোদিরই। লোকসভা নির্বাচনের মুখে নিজেদের অপকর্ম ঢাকার কৌশল। গেরুয়া অনুগত আইনজীবীদের দিয়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Dy Chandrachud) উপরে চাপসৃষ্টি করার কৌশল। নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করতে ওই আইনজীবীরাই আরও বেশকিছু আইনজীবীকে কাছে টেনেছেন। তারই পরিণতি, ৬০০ আইনজীবীর মিলিত চিঠি প্রধান বিচারপতিকে। একটু গভীরে গেলেই কিন্তু দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে আসল উদ্দেশ্যটা। পুরোভাগে থাকা আইনজীবীদের অনেককেই বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টক-শোতে নিয়মিত অংশ নিতে দেখা যায়। লক্ষ্য একটাই, নরেন্দ্র মোদির হয়ে সাফাই গাওয়া। লক্ষণীয়, বিজেপির অত্যন্ত বিশ্বাসভাজন আইনজীবী হিসেবে বিভিন্ন মামলায় কেন্দ্র ও গেরুয়া শাসিত রাজ্যগুলির পক্ষে সওয়াল করতে দেখা যায় আইনজীবী হরিশ সালভেকে। তিনি প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। এছাড়া বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্র, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল পিঙ্কি আনন্দ, সরকারি আইনজীবী উজ্জ্বলা পাওয়ার, চেতন মিত্তল সহ অনেকেরই গেরুয়া-ঘনিষ্ঠতা কারওরই অজানা নয়। এর থেকেই স্পষ্ট প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লেখার নেপথ্য কারিগর কারা এবং এর আসল উদ্দেশ্যটাই বা কী। চিঠিতে যা লেখা হয়েছে তার মোদ্দা কথা কী? স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বিচারবিভাগের ওপর চাপ তৈরি করতে চাইছে, মানহানি করতে চাইছে আদালতের। কিন্তু বাস্তবটা কী? বিরোধী নেতাদের অভিযোগ, নির্বাচনী বন্ডের তথ্যপ্রকাশে বাধা দিয়েছিলেন যে আইনজীবীরা, তাঁরাই এখন উলটো চাপ দেওয়ার খেলায় মেতেছেন। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে রাজ্যসভার টিকিট দেওয়া এবং অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিজেপির টিকিট দিয়ে বিচারব্যবস্থাটাকে আসলে কলুষিত করছে কারা? মোদির দলই নয় কি?
আরও পড়ুন-গেরুয়া বিহারে স্ত্রী, তিন শিশুসন্তানকে খুন করে ফেরার স্বামী