অন্তর্দ্বন্দ্বের শেষ নেই গেরুয়াশিবিরে। পুরভোটের আগেও চলছে ভাঙন-পর্ব। এবার খড়গপুরে (Kharagpur) বিজেপির অন্দরে ফাটল। গতকাল খড়গপুর (Kharagpur) পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি অভিষেক সাউ-সহ বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান নিয়ে দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মেদিনীপুরের সাংসদ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন – রাজ্য বিজেপিতে ফের বিদ্রোহ, জেলা সভাপতি বদলের দাবিতে বেসুরো ৫ বিধায়ক
পাশাপাশি পুরুলিয়াতে বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ ক্রমশই দানা বাঁধছে। বিজেপির নতুন জেলা সভাপতিকে নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সেখানেও। সূত্রের খবর, ভূমিপুত্র নয় এমন কাউকে কেন বিজেপির জেলা সভাপতি করা হয়েছে ? প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির পাঁচ বিধায়ক। দলীয় নেতৃত্বকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। চিঠি দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকেও। সম্প্রতি বিজেপির পুরুলিয়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয় বিবেক রাঙ্গাকে। এ নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়। জয়পুরের বিজেপি বিধায়ক নরহরি মাহাতোর প্রতিক্রিয়া, অভ্যন্তরীণ সমস্যা গণতান্ত্রিক উপায়ে দলের মধ্যেই সমাধান করা হবে।
উল্লেখ্য, মতুয়া বিক্ষোভ সামাল দিতে এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠেছে দলের। এমতাবস্থায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ বিজেপির পুরভোট নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠকেও দেখা মিলল না সেখানকার বিধায়ক এবং জেলা নেতৃত্বের। তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে যেমন অস্বস্তি তৈরি হয়েছে, তেমনই আবার তৃণমূলের তরফে তাদের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে। সামনে পুরসভা নির্বাচন। তার আগে বুধবার গান্ধী পল্লীতে দলের পার্টি অফিসে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে ২২টি ওয়ার্ডকে দু’টি ভাগে বিভক্ত করে বনগাঁ উত্তর এবং দক্ষিণ পৌর মণ্ডলের বৈঠকে নানা বুথ থেকে কর্মীরা এলেও, বৈঠকে দেখা যায়নি বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং জেলা নেতা দেবদাস মণ্ডলকে।