প্রতিবেদন : বাংলা জুড়ে ঝড় তৃণমূল কংগ্রেসের। বাংলার প্রতি বঞ্চনা, বাংলাকে ভাগ করার বিজেপির গভীর চক্রান্ত এবং নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠরোধ। এই তিন ইস্যুকে সামনে রেখে প্রচারে ঝড় তুলছে তৃণমূল। বিজেপির আসল চেহারাটা কী, কেন তারা বাংলা বিরোধী, তা বিগত কয়েকদিনের কর্মকাণ্ডে আরও স্পষ্ট হয়েছে। এবার বিজেপির সর্বভারতীয় চরিত্রটা প্রকাশ্যে আনাই লক্ষ্য।
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠরোধ করা হয়েছে ন্যক্কারজনকভাবে। বাংলাকে কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা বলছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলছিলেন কীভাবে পাওনা ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা আটকে রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে থামাতে বারবার বেল বাজানো হয়েছে, মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ শুধু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান নয়, বাংলাকে অপমান, বিজেপি-বিরোধী রাজ্যগুলিকে অপমান। প্রতিবাদে ফেটে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন। ক্ষুব্ধ বিরোধীরাও বলছেন, কেন্দ্রে তানাশাহি সরকার চলছে। সরাসরি অভিযোগ, এতো সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত। রাজ্য সরকারগুলির কাছ থেকে টাকা গেলে, তবেই কেন্দ্রের সরকার চলে। তাহলে কেন শোনা হবে না রাজ্যের কথা! এটা স্বৈরাচার ছাড়া অন্য কিছু নয়।
আরও পড়ুন-প্রথম ভারতীয় মহিলা শ্যুটার হিসেবে অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতলেন মনু ভাকের
তৃণমূল কংগ্রেস এতটুকু সময় নষ্ট করতে রাজি নয়। এবার কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ঝড় তুলতে শুরু করেছে। দিল্লি থেকে কলকাতা, যে সুর নেত্রী বেঁধে দিয়েছেন, সেই মেজাজেই প্রতিবাদে মুখর তৃণমূল কংগ্রেস। সর্বস্তরে প্রতিবাদ হচ্ছে, হবে। সরকারি স্তর থেকে সাংগঠনিক স্তরে প্রতিবাদ হবে। বাংলা জুড়ে এই ক্ষোভ বাড়ছে। বিগত প্রায় ৫ বছর থেকে কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট কথা, এই অপমান সহ্য করব না। বাংলার মানুষও করবেন না। মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর অসত্য বক্তব্যেও। দেশের অর্থমন্ত্রী যেভাবে সাতবারের সাংসদ, তিনবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করেছেন, তার জবাব দিতে তৈরি বাংলা। আগামী কয়েকদিন ধরে এই প্রতিবাদ গ্রাম, শহর, ব্লক, জেলায় ঝড় তুলবে।