প্রতিবেদন : শহরের বিভিন্ন এলাকায় হেলে পড়ছে বাড়ি! বাঘাযতীন, ট্যাংরার পর বাগুইআটি, কামারহাটি ও বিধাননগরেও বহুতল হেলে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু হেলে পড়া বাড়ি মানেই বিপজ্জনক নয়! বহুতলের স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি ঠিকঠাক থাকলে তা ভেঙে ফেলার কোনও প্রয়োজন নেই। কলকাতায় অনেক বাড়িই সামান্য হেলে রয়েছে। সেখানে নিশ্চিন্তে মানুষ বাসও করেন। এদিন ট্যাংরার ত্রিস্টোফার রোডের পাশাপাশি দুটি হেলে পড়া বহুতলের স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি টেস্ট হয়েছে। কলকাতা পুরসভা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারদের সেই পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Mayor Firhad Hakim) জানিয়েছেন, নির্মীয়মাণ বাড়ির কাউকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাশের হেলে পড়া বাড়িরও স্যাংশনড প্ল্যান দেখাতে পারেননি কেউ। তবে বাড়ি হেলে পড়ায় এফআইআর হয়েছে। কিন্তু বাড়িটা ভাঙতে হবে কি না, সেটা স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি দেখে ঠিক করা হবে। সব হেলে পড়া বাড়ি বিপজ্জনক নয়। কলকাতায় এরকম অনেক বাড়ি আছে।
আরও পড়ুন- মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামগত উন্নয়নের কাজ শুরু হবে শীঘ্রই : মুখ্যমন্ত্রী
বহুতল হেলে পড়লেই প্রশাসন কিংবা পুরসভাকে দোষারোপ করাকে অবাস্তব বলছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। জানিয়েছেন, এটার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বাড়ি হেলে পড়া মানেই যে সরকার বা পুরসভা দায়ী, এই থিওরি ভুল! বেসরকারিভাবে বাড়ি তৈরিতে কী কোয়ালিটির সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে, কীভাবে ভিত তৈরি হচ্ছে; প্রত্যেকটা জমিতে ঘুরে সেটা নজরদারি করা প্রশাসনের পক্ষেও অবাস্তব। একইসঙ্গে কুণালের সংযোজন, মধ্য কলকাতায় দুটো বিখ্যাত বাড়ি দশকের পর দশক ধরে একে অপরের উপর হেলে রয়েছে। বাম আমলে তৈরি হওয়া ওই দুটো বহুতল একে অপরের সাপোর্ট নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বছরের পর বছর। ওই হেলে পড়া বাড়িতেও মানুষ থাকছেন। তার মানে নিশ্চয়ই প্রযুক্তিবিদরা দেখে বলেছেন, বিপদের কোনও কারণ নেই! নাহলে মানুষকে ওখানে থাকতে দেওয়া হল কী করে! ওই বাড়ি দুটোর ছবি কোনও মিডিয়া দেখাচ্ছে না কেন? বুধবার ট্যাংরায় পাশাপাশি দুটি বাড়ি হেলে পড়া নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তারপর বাগুইআটিতেও জোড়া বহুতল হেলে পড়ার খবর মিলেছে। তাই হেলে পড়া বাড়ি বা বিপজ্জনক বাড়ির স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি টেস্ট করানোর অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র।