ভোটের মুখে ফের বড়সড় ভাঙন সিপিএমে। দলের ১০ বছরের প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা এরিয়া কমিটির সম্পাদক কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বৃহস্পতিবারই বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী-এই তিন পুরসভার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বাঁকুড়া জেলা বামফ্রন্ট। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই দেখা যায় সেই তালিকায় নাম নেই সোনামুখীর প্রাক্তন পুর প্রধান কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় সোনামুখী পুরসভায় ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সিপিএমের পুরপ্রধান ছিলেন। এরপর রাতেই তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলোক মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন – ধূপগুড়িতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, শরীরগুলো আটকে গাড়ির ভিতর, মুখ বেরিয়ে
কিছু পাওয়ার আশায় এই দলবদল নয় বলেই দাবি কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, রাজ্যে উন্নয়নের শরিক হতেই তাঁর এই দলবদলের সিদ্ধান্ত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হতেই ওই সিপিএম নেতা দল বদল করেছেন দাবি তৃণমূলের। কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “বিজেপিকে যদি ভারতমুক্ত করতে হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাত শক্ত করতে হবে। যেটা সিপিএমের দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, বিজেপিকে মুক্ত করতে গেলে সমস্ত বিরোধী দলকে এক কাট্টা হতে হবে। এটা প্রথমত রাজনৈতিক লাইন। দ্বিতীয়ত, উন্নয়নটা যেভাবে এই দশ বছরে তরন্বীত হয়েছে, তাকে আরও এগিয়ে নিতে যেতে হবে। আমি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি, সাধারণ সৈনিক হিসাবে। সিপিএমের প্রতি আর কোনও মোহ নেই। সব মোহ ত্যাগ করে চলে এসেছি।”
তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটা তো জলের মতো স্বচ্ছ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সর্বভারতীয় নেত্রী। তাঁর নেতৃত্বে যে উন্নয়নের ধারা এ টু জেড-সেটাই আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমি কোনও ধান্দাবাজি করতে যাচ্ছি না। মানুষের চাকর হিসাবে কাজ করছি।”