মাওবাদী সঙ্গ ত্যাগ করে শান্তিপূর্ণ ভোটের দায়িত্বে

আসানসোলের উপনির্বাচনের শান্তিতে ভোট করানোর দায়িত্বে তিনি। বন্দুক ছেড়ে লাঠি হাতে ভোটে রক্ষক শ্রীনাথ। স্বভাবতই এক অন্য ভূমিকায়।

Must read

প্রতিবেদন : একসময় ভোট বন্ধ করতেন তাঁরা। পোস্টারও দিতেন। গণতন্ত্রের উৎসবকে বয়কট করার ডাক দিতেন। ভোটে সন্ত্রাসের ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠত তাঁদের বিরুদ্ধে। সেই মাওবাদী স্কোয়াডের সদস্য এবার শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করানোর দায়িত্বে। বেলপাহাড়ির শ্রীনাথ মুন্ডা। কয়েকবছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে মূল স্রোতে ফেরেন। হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হয় তাঁকে।

আরও পড়ুন-শেষ মুহূর্তের গোলে নাটকীয় জয় বার্সার

এবার আসানসোলের উপনির্বাচনের শান্তিতে ভোট করানোর দায়িত্বে তিনি। বন্দুক ছেড়ে লাঠি হাতে ভোটে রক্ষক শ্রীনাথ। স্বভাবতই এক অন্য ভূমিকায়। নতুন চ্যালেঞ্জও। যে রাজনীতিতে তিনি যুক্ত ছিলেন সেখান থেকে গণতন্ত্রের উৎসবে নিজেকে যুক্ত করা নিঃসন্দেহে বাড়তি পাওনা। ভোটকেন্দ্রের চারিদিকে ব্যস্ততার সঙ্গে নজরদারি করতে দেখা গেল তাঁকে। বেলা গড়িয়ে বিকেল হয়েছে তখন। তাপ খানিকটা কমেছে। সারাদিন রোদে ঘোরাঘুরি। ঘর্মাক্ত। কিন্তু মনে কাজ করার অদম্য ইচ্ছাশক্তি। তবুও চোখ-মুখে নেই কোনও ক্লান্তির ছাপ। হাসি মুখে কাজ করে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন-যুবভারতীতে আজ এএফসি কাপের ম্যাচ, সামনে সিংহলী প্রতিপক্ষ ব্লু স্টার

বেলপাহাড়ি থেকে আসানসােলে। তাও আবার উপনির্বাচনে পাহারায়। কেমন লাগছে? কথা শুরুই করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে। বললেন, ‘‘জীবনটাই বদলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময় অনেক অভাব দেখেছি। দু’বেলা খাবার জোগাতে কত বিপজ্জনক পথ বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঠিক পথে ফিরিয়েছেন। চাকরি দিয়েছেন। পরিবারের মুখে দু’বেলা নিজের রোজগারের অন্ন তুলে দিতে পারি। ভাল লাগছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। আমি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব।’’ এবার আসানসোলে সব বুথই স্পর্শকাতর। হোমগার্ড হয়েও তাঁকে এই স্পর্শকাতর বুথে ডিউটি করতে হবে। তিনি বলেছেন, এটাও একটা জীবনের নতুন চ্যালেঞ্জ। নিঃসন্দেহে আমার নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি হবে।

Latest article