সৌম্য সিংহ : নিজেরা উন্নয়নে ব্যর্থ। আর উন্নয়ন প্রতিহত করাও যে এ রাজ্যে বিরোধী শক্তির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য, কলকাতা পুরসভার ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডই তার প্রমাণ। সিপিএমের নেতৃত্বে বাম পুরবোর্ডের সামগ্রিক ব্যর্থতা এবং অনিয়ম কলকাতা মহানগরীর যে দুর্দশা ডেকে এনেছিল, তা যেন আজও সযত্নে লালন করে চলেছেন ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন-দুয়ারে ফৈয়াজ
গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কলকাতা পুরসভা যখন রাজনৈতিক সংকীর্ণতামুক্ত উন্নয়নের জোয়ার এনেছে মহানগরীর বুকে, তখন সেই স্রোত যেন থমকে দাঁড়িয়েছে বেহালার এই এলাকায়, শুধুমাত্র বামপন্থীদের অসহযোগিতায়। পূর্বে বেহালা চৌরাস্তা, পশ্চিমে মহেশতলা। মাঝে সঞ্জীব পল্লি, শকুন্তলা পার্ক, শ্যামসুন্দরতলা, ঝাউতলা—প্রায় সব জায়গাতেই নিকাশির অব্যবস্থা। জল জমার সমস্যা এবং পানীয় জলের সংকট আজও প্রকট।
আরও পড়ুন-ঝোড়ো সেঞ্চুরি করে দলকে টানছেন হেড
এই দুর্বিষহ যন্ত্রণা থেকে এলাকার বাসিন্দাদের মুক্তি দেওয়াই আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন প্রার্থী পার্থ সরকারের কাছে। তাই তাঁর প্রথম লক্ষ্য, পুর নির্বাচনে বিশাল ভোটের ব্যবধানে বামেদের নিশ্চিহ্ন করা। দ্বিতীয় লক্ষ্য, পুরপ্রতিনিধি হিসেবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পানীয় জল এবং জলনিকাশি সমস্যার দ্রুত সমাধান। প্রচারের ফাঁকে কথা প্রসঙ্গে জানালেন পার্থ সরকার নিজেই। ভোটের লড়াইয়ে প্রার্থী হিসেবে নতুন মুখ, কিন্তু তা বলে এলাকায় অপরিচিত মুখ নন মোটেই।
আরও পড়ুন-জঙ্গলমহলে বিজেপির হাতছাড়া এক পঞ্চায়েত
মিশুকে স্বভাবের পার্থ সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতা তাই প্রশ্নাতীত। আমফান বা অন্যান্য দুর্যোগে, কোভিড মহামারীতে যখন নির্বাচিত সিপিএম কাউন্সিলরের দেখা মেলেনি, তখন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন পার্থ সরকার। গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে অঙ্কের হিসেবে অবশ্য ইতিমধ্যেই সিপিএম তথা বিরোধীদের অনেকটাই পেছনে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুরনির্বাচনে জয় তাই শুধু সময়ের অপেক্ষা।