শ্রমিকদের সুরক্ষায় বাংলা থেকে শিক্ষা নিচ্ছে বামশাসিত কেরল

গোটা দেশে যখন শ্রমিকদের সুরক্ষায় কোনও ব্যবস্থা নেই সেখানে দাঁড়িয়ে বাংলায় শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়া নজির গড়েছেন।

Must read

সংবাদদাতা, হুগলি : গোটা দেশে যখন শ্রমিকদের সুরক্ষায় কোনও ব্যবস্থা নেই সেখানে দাঁড়িয়ে বাংলায় শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়া নজির গড়েছেন। এক কোটি তিয়াত্তর লক্ষ লোক কর্মশ্রী প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন। ৪১ লক্ষের বেশি মানুষ ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি পরিষেবা পেয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষায় নবজাগরণ ঘটিয়েছেন।

আরও পড়ুন-অনুপ্রেরণা মুখ্যমন্ত্রী, হেঁটেই জালিয়ানওয়ালাবাগের পথে বৃদ্ধ

রবিবার হুগলিতে শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল শ্রমিক সমাবেশের সভা থেকে এভাবেই রাজ্য সরকারের শ্রমিকদরদি মনোভাবের কথা তুলে ধরলেন আইএনটিটিইউসি’র রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, জুট নিয়ে কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তাতে বাংলার জুট ইন্ডাস্ট্রি সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থায় একশো শতাংশ জুটের অর্ডার হবে ততদিন কোনও সমস্যা মিটবে না। নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে পলিজুট। জুট আর পলিয়েস্টার মিশ্রিত। মহারাষ্ট্র আর গুজরাতের সিনথেটিক লবির চাপ হচ্ছে ব্যাগগুলো যাতে জুটের না হয় তার চেষ্টা চলছে। আমাদের দাবি, সবার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত জায়গায় ১০০ শতাংশ জুটের ব্যবহার করতে হবে। যাতে অন্য কোনও ব্যাগের ব্যবহার না হয়। বস্ত্রমন্ত্রী এখানে এসে যা খুশি বলতে পারেন তাতে মৌলিক সমস্যার কোনও সমাধান হচ্ছে না। পার্লামেন্টের বাজেট অধিবেশন শুরু হলে জুট একটা বড় এজেন্ডা। সেখানে এই বিষয়গুলো উঠবে। এনিয়ে আমরা চিঠিও দেব। পার্লামেন্টে একটা বাংলার জুট ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে শর্ট ডিসকাশন চাইব। জুটের কম ফলন যা কিছু হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তুঘলকি সিদ্ধান্তেরই ফল। যার জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে এই শিল্প। হুগলির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল শ্রমিক সমাবেশে দাদপুরের মহেশ্বরপুর হাইস্কুল মাঠে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা নেতৃত্ব।

Latest article