রিতিশা সরকার, কালিম্পঙ: যারা এক সময় মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে পাহাড়ে উঠতেই দেয়নি, তাদের সঙ্গে পাহাড়-ভাঙার চক্রান্তে এবার হাত মেলাল বাম (Left Party) দলেরই অন্যতম শরিক সিপিআই। আর এ নিয়ে বামফ্রন্টের পক্ষে কোনও নিন্দাও শোনা গেল না। শীর্ষ নেতৃত্ব আশ্চর্য নীরব। পাহাড় সমস্যা সমাধানের নাম করে পাহাড়ে নিজেদের ওজন মাপতে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে কালিম্পঙে বৈঠক ডেকে ছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। শনিবার কালিম্পঙের একটি বিলাসবহুল হোটেলে মোর্চার সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সমতল তো দূরের কথা পাহাড়ের অন্য কোনও রাজনৈতিক দলই অংশগ্রহণ করেনি। বলা ভাল, সমস্ত রাজনৈতিক দল উপেক্ষা করল মোর্চাকে। শুধুমাত্র বাম শরিক সিপিআইয়ের পক্ষ থেকে তারা সুন্দাস উপস্থিত ছিলেন। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ডাকা সভায় এদিন বিমল গুরুং নিজেও ছিলেন না। সভা পরিচালনা করেন মোর্চা সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। একদিকে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ে গিয়ে জিটিএ নির্বাচনের কথা যখন ঘোষণা করেছেন, ঠিক তখনই জিটিএ-র বিরোধিতা করে নতুন কিছু তৈরির দাবি করছেন রোশন গিরিরা। উদ্দেশ্য পাহাড়ে অশান্তি তৈরি করা। আর তাতে সায় দিচ্ছে বাম শরিক সিপিআই। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বামেরা (Left Party) মোর্চার হাত ধরে পাহাড়ে জমি চাইছে, নাকি ফের পাহাড় অশান্ত করে তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাইছে।