প্রতিবেদন : বিজেপির দালালি করতে গিয়ে কুৎসা, অপপ্রচার, মিথ্যাচার কিছুই বাদ যায়নি। প্রকৃত তথ্য চেপে গিয়ে বিকৃত তথ্য পরিবেশন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সম্মানহানি করা সহ সবই করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পেন ও দুবাই সফরে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যাওয়া একঝাঁক সিনিয়র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। এবার সেই আট জন সাংবাদিকের তরফে উকিলের চিঠি গেল কুৎসাকারীর কাছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার করে কুৎসাকারী সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে নিজের অভিযোগ প্রমাণ অথবা প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী প্রাণ ফেরাল সদ্যোজাতের
সাংবাদিকদের অশালীন কথার পাশাপাশি সন্ময়ের দাবি, এই সাংবাদিকরা নাকি রাজ্য সরকারের টাকায় বিদেশে ফুর্তি করতে গেছেন। যা আদতে সর্বৈব মিথ্যা। মাদ্রিদ অথবা বার্সেলোনায় মুখ্যমন্ত্রী যে হোটেলে ছিলেন সেখানে থাকেননি পেশার তাগিদে বিদেশ যাওয়া এই সফরের কোনও সাংবাদিক। তাঁরা নিজেদের সংস্থার অর্থে হোটেলে ছিলেন। শুধুমাত্র সাংবাদিকরাই নন, মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন ও দুবাই সফরে রাজ্য সরকারের যে-সমস্ত আধিকারিক গিয়েছিলেন তাঁদের ছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর সফরে যাওয়া কোনও শিল্পপতি অথবা অন্য কারও জন্য এক নয়াপয়সা খরচ করেনি রাজ্য সরকার। প্রত্যেকেই নিজের টাকায় বিমানের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেল বুকিংয়ের খরচ বহন করেছেন।আইনজীবী নীলাদ্রি ভট্টাচার্যর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর সফর কভার করতে যাওয়া ৮ সাংবাদিক, যাঁদের মধ্যে ৭ জন সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক পদমর্যাদার।
আরও পড়ুন-স্টিমাচ বললেন, আরও চমক আছে
সন্ময় শুধু এই সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত কুৎসা করেননি, দেশের সমাজব্যবস্থায় সংবাদমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে যে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, সেই সংবাদমাধ্যমকে সামগ্রিকভাবে কলঙ্কিত করারও চেষ্টা করেছেন ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে। এই ধরনের কুৎসিত প্রচার বন্ধ করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মিথ্যে প্রচার সম্বলিত সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট ডিলিট করতে হবে এবং প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে অন্যথায় সন্ময়ের বিরুদ্ধে মানহানি ও ফৌজদারি মামলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে আইনি নোটিশে।