প্রতিবেদন: পরিবেশ রক্ষায় চরম উদাসীনতা। দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। এই খাতে তহবিলের বরাদ্দ অর্থ খরচ করতেই পারেনি মোদি সরকার। তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রককে দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিলের অপব্যবহারের জন্য তিরস্কার করেছে। ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের জন্য মন্ত্রককে বরাদ্দ করা ৮৫৮ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৭.২২ কোটি টাকা, অর্থাৎ তহবিলের ১ শতাংশেরও কম ব্যবহৃত হয়েছে বলে সংসদে পেশ করা কমিটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ সৌগতর
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি মন্ত্রককে আত্মপরীক্ষা করতে বলেছে এবং মন্ত্রকের নিষ্ক্রিয়তার জন্য হতাশা প্রকাশ করেছে। স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমরা হতবাক হয়ে লক্ষ্য করেছি যে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বরাদ্দ ৮৫৮ কোটি টাকা, যা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক সংশোধিত অনুমান (আরই) বরাদ্দের ২৭.৪৪ শতাংশ, ২০২৫-২৬ পর্যন্ত দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের ধারাবাহিকতার অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকায় আর্থিক বছরের শেষ পর্যায়েও ব্যবহৃত হয়নি। মন্ত্রকের কর্মকর্তারা সাফাই দিয়ে বলেছেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে ধারাবাহিকতার অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকায় তহবিল ব্যবহৃত হয়নি। তবে গত দুটি আর্থিক বছরে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা সম্পূর্ণ বাজেট ব্যবহৃত হয়েছে। যদিও এই যুক্তিকে গুরুত্ব দেয়নি স্থায়ী কমিটি। এই প্রসঙ্গে কমিটির রিপোর্ট বলেছে, যখন পরিবেশ মন্ত্রককে ক্রমশ দূষিত হওয়া বায়ুর গুণমানের গুরুতর এবং জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে, তখন মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি। দূষণ মোকাবিলায় গুরুত্ব না দেওয়ার ফলেই এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিলের ১ শতাংশ এখনও ব্যবহৃত হয়নি। তাই কমিটি সুপারিশ করছে যে মন্ত্রককে আত্মপরীক্ষা করতে হবে এবং এই মারাত্মক অপব্যবহারের কারণগুলি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।
প্রসঙ্গত দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পটি ২০১৮ সালে বায়ু, জল এবং শব্দদূষণ এবং দেশজুড়ে তাদের গুণমানের মাত্রা পর্যবেক্ষণের জন্য চালু করা হয়েছিল। এটি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা অর্থায়িত এবং সরকারের প্রধান জাতীয় পরিচ্ছন্ন বায়ু কর্মসূচির (এনসিএপি) অংশ।এনসিএপির লক্ষ্য ২০২৬ সালের মধ্যে ১৩১টি শহরে পার্টিকুলেট ম্যাটার ১০ (পিএম১০) কমানো। পরিবেশ মন্ত্রক ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত
মাত্র ৫৪ শতাংশ বা ১,৭১২.৪৮ কোটি টাকা
ব্যয় করেছে।