একটি শিশুরও যেন মৃত্যু না হয় : মুখ্যমন্ত্রী

শিশুদের মধ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ ও মৃত্যু রুখতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রশাসনকে মাঠে নামার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

Must read

প্রতিবেদন : শিশুদের মধ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ ও মৃত্যু রুখতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রশাসনকে মাঠে নামার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন করে যাতে রাজ্যে আর একটি শিশুরও মৃত্যু না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় রাজ্যে একের পর এক শিশুমৃত্যুতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সেখানে হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বাড়াতে ও উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরিতে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক নির্দেশ দেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাস্থ্যসচিব বিকেলে স্বাস্থ্য ভবনে কলকাতা ও জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পরে অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতর থেকে দশ দফার বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি হয়েছে।

আরও পড়ুন-আমেরিকাতেও নিষিদ্ধ

রাজ্যে যেভাবে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ২০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ও বিসি রায় হাসপাতালে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দু’জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবারও বি সি রায় হাসপাতালে ফের এক শিশুর মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসার জন্য ২৫টি বেড চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, পরিস্থিতি দেখে বেড বাড়িয়ে ৫০টা পর্যন্ত করা হতে পারে।

আরও পড়ুন-২২ গজকে মিস করছেন ঋষভ

নবান্নের ১০ দফা নির্দেশিকা

১. সরকারি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজে ২৪ ঘণ্টার ‘এআরআই’ ক্লিনিক বা শিশুদের শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণের চিকিৎসা কেন্দ্র হবে।
২. আউটডোরের বাইরেও মেডিক্যাল কলেজে আলাদাভাবে ওই ক্লিনিক।
৩. জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ থাকতে হবে। ভেন্টিলেটর সহ সমস্ত পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে হবে।
৪. হাসপাতালের সুপারের অনুমতি ছাড়া জেলা থেকে কোনও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ আক্রান্ত শিশুকে রেফার করা যাবে না।
৫. রেফার করার আগে জেনে নিতে হবে যে হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে সেখানে শয্যা খালি আছে কি না।
৬. কোভিডের জন্য বরাদ্দ ওয়ার্ডে আক্রান্তদের ভর্তি করা যাবে। কোভিডের সময় ব্যবহৃত ভেন্টিলেটর প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে।
৭. ইতিমধ্যেই ৫টি হাসপাতালকে শিশু-চিকিৎসার হাব হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বি সি রায়, ন্যাশনাল মেডিক্যাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, বাঁকুড়া, মালদা মেডিক্যাল কলেজে শিশু চিকিৎসার হাব করা হয়েছে।
৮. বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ।
৯. সাধারণ মানুষের জন্য একটি হেল্পলাইনও চালু করা হয়েছে। যার নম্বর ১৮০০৩১৩৪৪৪২২২।
১০. এছাড়াও শিশুদের ভিড় থেকে দূরে রাখার ও মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আশাকর্মীরা এই নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচার করবেন।

Latest article