চন্দ্রকেতুগড়ের ঐতিহাসিক মূল্য রক্ষা করা হোক

বিভিন্ন রাজ্যেই এইরকম ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে খুঁজে বের করা এবং তার প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য সরকার এই কাজ করছে।

Must read

নয়াদিল্লি : রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ও দলের মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায় জানতে চান কলকাতার কাছেই অবস্থিত ঐতিহাসিক চন্দ্রকেতুগড়ের প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য রক্ষায় এবং ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ কোনও পদক্ষেপ নিয়েছে কি না। তিনি আরও জানতে চান, চন্দ্রকেতুগড়ের জন্য কোনও উপগ্রহের মাধ্যমে নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের আছে কি না। কারণ বিভিন্ন রাজ্যেই এইরকম ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে খুঁজে বের করা এবং তার প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য সরকার এই কাজ করছে।

আরও পড়ুন-মোদিরাজ্যে হাসপাতালের ভিতরেই খুন মা ও মেয়ে

কলকাতার ক্ষেত্রেও এই রকমের কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রের আছে কি না তা জানতে চান সাংসদ। তিনি মনে করিয়ে দেন, চন্দ্রকেতুগড় আজ থেকে প্রায় ২,৬০০ বছর আগে কলকাতার কাছে সভ্যতার অন্যতম এক পীঠস্থান ছিল। এমনকী জলপথে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও চন্দ্রকেতুগড় প্রসিদ্ধ ছিল। এইরকম একটি ঐতিহাসিক স্থানের গুরুত্ব এবং ঐতিহাসিক মূল্য সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কী কী উদ্যোগ নিয়েছে?

আরও পড়ুন-করোনার প্রকৃত তথ্য গোপন করছে চিন, তোপ হু–র

এর উত্তরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং চন্দ্রকেতুগড়ের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনার কথা বিশদে না জানালেও বলেন, এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি প্রযুক্তির মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্থানগুলোর উপর নজরদারি করছে৷ এগুলি হল উপগ্রহচিত্র, ড্রোন এবং র‍্যাডার টেকনোলজি। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্পের অন্তর্গত দু’লক্ষ পঞ্চায়েতকে এইভাবে ভাগ করা হয়েছে। যদিও চন্দ্রকেতুগড়ের জন্য বিশেষ করে কোনও পরিকল্পনা রয়েছে কি না তা স্পষ্ট করেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

Latest article