ক্রিসমাস পার্টি হোক বাড়িতেই

সামনেই বড়দিন। রেস্তোরাঁ বা ক্লাবে নয়, এবারের বড়দিনে বাড়িতেই হোক ক্রিসমাস পার্টি। হোম ডেকোরেশন থেকে টেবিল সাজানো, ক্রিসমাসের ট্রাডিশনাল মেনু থেকে ড্রেস কোড, কেমন হবে সবকিছু, থিম কালার কী রাখবেন, সবকিছুর গাইডলাইন দিলেন কাকলি পাল বিশ্বাস

Must read

বাইরে প্রচণ্ড ঠান্ডা, বাজারে কমলালেবুর ঢল আর রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে ক্রিসমাস (christmas) ট্রি। এসে গেছে বাঙালির বড়দিন, যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন। এই সময় যেমন অলিগলি, সমস্ত জায়গাতেই ক্রিসমাস ইভ পালনের হরেক পশরা নিয়ে দোকানিরা। শহরের ছোট বড় রেস্তোরাঁ, ক্লাব, পাব, বার সর্বত্র শীতের আমেজ গায়ে মেখে আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব একসঙ্গে জমিয়ে পার্টি করবেন। ক্রিসমাস ইভ পার্টি বেশিরভাগ মানুষ নিজের বাড়িতেই অ্যারেঞ্জ করেন। বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনরা একত্রিত হয়ে দুপুরে বা রাতের হিমেল বাতাস উপভোগ করতে করতে খাওয়াদাওয়া আর আড্ডা দেওয়ার মজাটাই আলাদা হয়। কীভাবে সাজাবে ঘর থেকে ডিনার টেবিল, মেনুতেই বা কী রাখবেন তার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে নিন।

ক্রিসমাস ডেকোরেশনের টুকটাক
ক্রিসমাসের (christmas) পার্টির জন্য আনুষঙ্গিকও হতে হবে মানানসই। আর সেই সব দিয়ে ঘর সাজানোর আগে ঘরটিকে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে নিন। কারণ অতিথিরা আসবে। যেহেতু রাতভর পার্টি চলবে সেহেতু বাথরুম সবার আগে পরিষ্কার করে রাখুন। এ-ছাড়াও ঘরের মধ্যে সুগন্ধী ছড়িয়ে রাখবেন। নানা ফ্লেভারের রুম ফ্রেশনার ব্যবহার করতে পারেন। ক্রিসমাসের জন্য কোন কোন উপকরণ নেবেন—

ক্রিসমাস ট্রি :
ক্রিসমাস ট্রি। এ ছাড়া ক্রিসমাসের পার্টি সেলিব্রেশনের কথা ভাবাই যায় না। ক্রিসমাস ট্রি আসল অথবা কৃত্রিম যাই হোক না কেন, আপনার ড্রয়িংরুমের ধরন, ইন্টিরিয়র বুঝে মানানসই রং আর ক্রিসমাস ট্রি কিনুন। একটা বড় ট্রি কিনতে পারেন অথবা ছোট ছোট ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন শোভা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে। এরপর রিং, বেলস, স্টিক, ছোট ছোট সান্টা, স্টার, চকোলেট বক্স, গিফট বক্স ঝুলিয়ে ডেকরেট করুন। ক্রিসমাস ট্রি-তে স্টার সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক। এখন অনেক লাইট পাওয়া যায় যেগুলো ক্রিসমাস ট্রি-র চারপাশ দিয়ে পেঁচিয়ে নিতে পারেন। এলইডি স্ট্রিং লাইট ব্যবহার করা যেতে পারে। আলো ঠিকমতো বসানোর পর গাছের সৌন্দর্য অনেকটাই বেড়ে যায়। এরপর বড় রিবন এবং বড় ক্রিসমাস বেল একটাই রাখুন। নিজের পছন্দের রং বা নির্দিষ্ট কোনও থিম ধরেও সাজাতে পারেন। বাড়িতে বাচ্চা থাকলে ক্যান্ডি থিমে ট্রি সাজানো দারুণ আইডিয়া। রঙিন ক্যান্ডি, ছোট খেলনা আর মিষ্টির আদলে সাজানো গাছটি পার্টিকে আরও আনন্দময় করে তুলবে। প্রতিটি ক্রিসমাস ট্রিতে কিছু ক্লাসিক সাজ থাকেই। ট্রি সাজাতে লাল, সবুজ, সোনালি ও রুপোলি বিভিন্ন রিবন ব্যবহার করতে পারেন। ডেকোরেশন নিজের মনের মতো করুন তবেই লাইট জ্বালালে ক্রিসমাস ট্রি হয়ে উঠবে বড়দিনের প্রতীক।

টিনসেলের মালা :
ঘরের সৌন্দর্যকে আরও প্রাণবন্ত করার জন্য টিনসেলের মালা ব্যবহার করা যেতেই পারে। ক্রিসমাসের সময় টিনসেলের পাতলা ফয়েল স্ট্রিপের চাহিদা খুব বেড়ে যায়। এই টিনসেলের মালা দিয়ে ঘরের দরজা, জানালায়, সিঁড়ির রেলিং, দেয়ালে কিংবা ক্রিসমাস ট্রিতেও সাজানো যায়।

পুষ্পস্তবক :
ক্রিসমাস পার্টির সাজ মানেই শুধু আলো আর গাছ নয়, ফুলের সঠিক ব্যবহারে পুরো পরিবেশটাই বদলে যায়। এই ধরনের ফুলের সাজকে সাধারণত বলা হয় ক্রিসমাস ফ্লোরাল অ্যারেঞ্জমেন্ট। লাল, সাদা আর সবুজ রঙের সমন্বয়ে তৈরি এই সজ্জা মুহূর্তেই এনে দেয় উৎসবের উষ্ণতা। আর সেই জন্য ক্রিসমাসের ঘরোয়া পার্টিতে ও ফুলের ব্যবহার করে পরিবেশকে আরও সুন্দর করে তোলা যেতেই পারে। আর এই ফুলগুলো ক্রিসমাস ফ্লোরাল অ্যারেঞ্জমেন্টে সাধারণত ব্যবহার হয় লাল গোলাপ, সাদা লিলি, চন্দ্রমল্লিকার মতো ফুল। সঙ্গে থাকে গ্ল্যাডিওলাসের সৌন্দর্য। ফুলের সঙ্গে পাইন পাতা, বেরি, পাইন কোন যোগ করলে সাজে আসে একেবারে ক্রিসমাসের ঘ্রাণ। সোনালি বা রুপোলি রিবন আর মোমবাতি এই সাজকে করে তোলে আরও আকর্ষণীয়। ফুলের পাশাপাশি বেলুনও এখন ক্রিসমাস পার্টির বড় অংশ। এ ছাড়াও ঘরের একপাশে লাল, সবুজ আর সোনালি রঙের বেলুন দিয়ে তৈরি ব্যাকড্রপ তৈরি করে নিলে সেটা ছবি তোলার জন্য আদর্শ জায়গা হবে। চাইলে হলুদ বা সোনালি ফয়েল বেলুন যোগ করে সাজে একটু ঝলমলে ছোঁয়া আনা যেতে পারে।

ট্র্যাডিশনাল টেবিল আরেঞ্জমেন্ট
ক্রিসমাস (christmas) মানেই লাল, সবুজ, সোনালি বা রূপালি রঙের ছোঁয়া আলো ঝলমলে একটা ব্যাপার। ক্রিসমাস হল একটা সুন্দর ট্রাডিশন তাই ট্রাডিশন মেনেই লাঞ্চ, ব্লাঞ্চ বা ডিনার টেবিল সাজান। গাঢ় রঙের টেবিল ক্লথ ব্যবহার করুন বা থিম সেট করে সেই থিম অনুযায়ী কালার প্যালেট নির্বাচন করতে পারে। সাজানোর সময় টেবিলের

মাঝখানে একটি সুন্দর ফ্লোরাল সেন্টারপিস
রাখা যেতে পারে। এতেই গোটা টেবিলের লুক বদল হবে। তবে সব থেকে সহজ বিকল্প হল পাইন শঙ্কু দিয়ে ভরা একটি বাটি যদি টেবিলের মাঝখানে রাখা যায় তাহলেও খুব সুন্দর লাগবে। ক্রিসমাস টেবিল সাজাতে মোমবাতি আর গ্রিনারি একেবারে নিখুঁত জুটি। একটি ট্রের ওপর পাইন ডাল বিছিয়ে তার মাঝে বিভিন্ন উচ্চতার মোমবাতি বা লণ্ঠন রাখুন। নরম আলো ছড়াতে ব্যাটারি চালিত ফেরি লাইট যোগ করলে পরিবেশ আরও উষ্ণ হবে। সাজে প্রাকৃতিক ছোঁয়া আনতে পাইন কোন, লাল বেরি, দারুচিনির কাঠি কিংবা শুকনো কমলার টুকরো ব্যবহার করুন। থিম অনুযায়ী লাল, সবুজ, সোনালি বা রুপোলি অর্নামেন্টস ছড়িয়ে দিলে আলোতে ঝলমল করবে পুরো টেবিল। চাইলে লাল গোলাপ, জারবেরা দিয়ে সাজে আনতে পারেন বাড়তি আকর্ষণ।
পার্টিতে পুরনো দিনের রুচিসম্পন্ন সাজানোর জন্য পুরনো চিনামাটির কাপ বা কফি সেটে ছোট পাইন গাছ রাখুন। আর যাঁরা সিম্পল পছন্দ করেন, তাঁরা কয়েকটি সুন্দর মোমবাতিদান আর কিছু সবুজ ডালেই রুচিসম্মত সাজ তৈরি করতে পারেন।
দরজার উপরে বা সিলিং থেকে ফুল ও পাতা দিয়ে তৈরি রিং বা রিথ ঝুলিয়ে দিলে ঘর জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে উৎসবের আবহ। বেলুন আর ফয়েলের ব্যাকড্রপ ঘরের কোণটাকে করে তুলবে প্রাণবন্ত ও নজরকাড়া। সব মিলিয়ে, এই ধরনের সাজ ক্রিসমাস পার্টিকে করে তোলে আনন্দময়, উষ্ণ আর মনে রাখার মতো।

আরও পড়ুন-বেকার মশকরা না করে সিরিয়াসলি ভেবে দেখুন

ঝুলিয়ে রাখুন মোজা
পার্টিতে বাচ্চা থাকুক আর বয়স্ক, সবারই এই দিন স্যান্টাক্লজের কাছ থেকে উপহার পেতে ভাল লাগে। আর সেই কারণেই ঘরের এক কোণে অথবা জালনার উপরে অথবা টেবিলে বা বিছানায় ক্রিসমাসের (christmas) মোজা রেখে দিন। এই মোজাগুলো আদতে এক ধরনের মোজা আকৃতির ব্যাগ। এই ব্যাগগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো উপহার সামগ্রী ভরে রেখে দেওয়া যেতে পারে। উপহার পেলে পার্টিটা সবার কাছে স্মৃতিমধুর হয়ে থাকবে।

ক্রিসমাস লাইট
এই দিন শুধু ঘরটাকে লাইট দিয়ে সাজালেই চলবে না। ঘরের বাইরেটাকেও লাইট দিয়ে সাজাতে হবে। তাই আপনার দরজার বাইরে তারা বা গাছের মতো আকৃতির স্টেক লাইট লাগান। এছাড়াও যদি সামনে বাগান থাকে এবং সেখানে গাছ থাকে এবং ফুলের টব থাকে, সেগুলোতেও টুনি বালবের মতন আলোর মালা পেঁচিয়ে দিন। যাতে চারদিক আলোর বন্যায় ভেসে যায়। ঘরে ঢোকার মূল দরজার দু-পাশে দুটো বড় বড় কাচের বয়াম রেখে তার মধ্যে লাইট লাগিয়ে একটা সুন্দর মনোরম রূপ দিতে পারেন।

ক্রিসমাস পার্টি ওয়্যার
শীতের সন্ধ্যায় স্টাইল আর কমফোর্ট দুটোই মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচন করুন। ক্রিসমাস (christmas) মানেই লাল রং। সান্তা ক্লজ থেকে শুরু করে পার্টির সাজ, সবেতেই এই রঙের দাপট সব থেকে বেশি থাকে। তাই আপনার পার্টির ড্রেস কোড লাল হতেই পারে। এ-ছাড়া শীতকাল সন্ধের বা রাতে পার্টির থিম ব্ল্যাক বা যে কোনও গাঢ় রং রাখতে পারেন। চাইলে ওয়েস্টার্ন ড্রেস, আবার ইন্দো-ওয়েস্টার্ন পোশাক এমনকী শাড়িও পরতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে মেটিরিয়াল যেন একটি পার্টি ওয়্যার হয় লক্ষ্য রাখবেন। এদিন সিল্কের চেয়ে বেশি মানাবে শিফন, জর্জেট, মোডাল, ফ্রেন্ডি ধরনের ফেব্রিক সঙ্গে হালকা নেভি আই, স্মোকি আই, গ্লিটার আই যা খুশি এক্সপেরিমেন্ট করুন। উৎসবটা কী সেটা তো দেখতে হবে। জুয়েলারি মিনিমাল। ঠান্ডার জন্য উপরেই একটা পুলোভার, শ্রাগ, জূযাকেট, বোলেরোস থাকতেই পারে। ওয়ান পিস সোয়েড মেটিরিয়ালের বডিকন ড্রেস হতে পারে সেরা অপশন। হাই নেক হলে আলাদা মাফলারও লাগবে না। অ্যাঙ্কেল লেন্থ বুট আর চাইলে ক্রিসমাস থিমের হেয়ার ব্যান্ড। এই লুকেই পার্টির জন্য একদম নিজেকে তৈরি করে নিতে পারবেন।
মনোক্রোম কো-অর্ড সেট এখন ফ্যাশনের দুনিয়ায় ভীষণ জনপ্রিয়। একেবারে লাল না হলেও চেরি রেড বা মেরুন শেডের কো-অর্ড সেট ক্রিসমাস পার্টির জন্য একেবারে মানানসই। ক্রপ টপ আর ফ্লেয়ার্ড প্যান্টের সঙ্গে গোল্ডেন হুপ ইয়াররিংস যোগ করলে দেখতে অসাধারণ লাগবে। তবে ক্রিসমাসের পার্টিতে অনেকেই গাউন পড়তে ভালবাসেন। সেক্ষেত্রে লাল বা মেরুন রঙের লং গাউন বেছে নিতে পারেন। ভেলভেট ফ্যাব্রিক শীতে যেমন আরামদায়ক, তেমনই দেখতে দারুণ। সাইড স্লিট বা নুডল স্ট্র্যাপ থাকলে লুক হবে আরও স্টাইলিশ।

পার্টির মেনুতে থাক নিজস্ব রুচি
ক্রিসমাস (christmas) হোক বা নিউ ইয়ার, উৎসবের আসল আনন্দটা লুকিয়ে থাকে খাবারের টেবিলে। বন্ধু আর পরিবারের সঙ্গে আড্ডা, হাসি আর গল্পের মাঝে ভাল খাবার না থাকলে ক্রিসমাস কেন যে কোনও পার্টিই যেন অসম্পূর্ণই থেকে যায়। তাই পার্টির মেনুতে অবশ্যই নিজস্ব রুচি ও ছোঁয়া থাকলে ভাল হয়। কী রাখতে চাইছেন ট্রাডিশনাল নাকি কনটেম্পরারি ক্লাসিক মেনু— ঠিক করুন। সবার প্রথমে ক্রিসমাসের ট্রাডিশনাল ফ্রুট কেক, প্লাম কেক। কেক না থাকলে বড়দিনের আমেজটাই আসবে না। ভাল বেকারি থেকে কিনে আনতে পারেন, আবার চাইলে বাড়িতেও নিজের পছন্দ মতো বানিয়ে নিতে পারেন। কেকের সঙ্গে থাকবে ট্রাডিশনাল ওয়াইন। কারণ ক্রিসমাস পার্টিতে ওয়াইন প্রায় অপরিহার্য। জিঞ্জার ওয়াইন বা মালড ওয়াইন এই সময়ের জন্য একেবারে পারফেক্ট। খাঁটি হোমমেড স্বাদ পেতে চাইলে বো ব্যারাকসের নাম অনেকেরই প্রথম পছন্দ, যদিও চাহিদা এত বেশি যে আগে থেকেই কিনে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। নইলে মল বা রেস্তোরাঁর ওয়াইন শপেও মিলবে ক্রিসমাস স্পেশ্যাল কালেকশন।

এবার আসা যাক স্টার্টারের কথায়। স্টার্টার এমন হওয়া দরকার যা খেতে মজাদার, কিন্তু বেশি ভারী নয়। ফ্রায়েড মাটন লিভার, সসেজ বা প্রন ককটেল সহজ আর জনপ্রিয় অপশন। নিরামিষ অতিথিদের জন্য ক্রিস্পি বেবি কর্ন রাখলে কেউই নিরাশ হবেন না। বানাতেও সময় কম লাগে, পরিবেশন করতেও ঝামেলা নেই। মেন কোর্সে ক্রিসমাসের ঐতিহ্যর ছোঁয়া যেন একটু থাকেই। রোস্ট ছাড়া এই উৎসব কল্পনাই করা যায় না। টার্কি রোস্ট সবচেয়ে ক্লাসিক পছন্দ হলেও সময় ও ধৈর্য দুটোই লাগে। তাই অনেকেই বেছে নেন চিকেন রোস্ট বা বার্বিকিউ চিকেন। একটু আলাদা কিছু করতে চাইলে রোস্টেড ডাক দারুণ অপশন। মিট লাভারদের জন্য ল্যাম্ব চপও কিন্তু দারুণ হবে। আর যাঁরা তুলনায় হালকা কিছু চান, তাঁদের জন্য বেকন র্যা পড পর্কও বেশ ভাল লাগে।
মাংসের সঙ্গে ভারসাম্য রাখতে চাই ভেজিটেবলও। ম্যাশড পটেটো বা সুইট পটেটো রোস্ট রোস্টেড মাংসের সঙ্গে অসাধারণ মানায়। সঙ্গে রাখতে পারেন বয়েলড বা সঁতে করা গাজর, বিনস, ব্রকোলি, কড়াইশুঁটি। রঙিন বেল পেপার আর পেঁয়াজ বার্বিকিউ সসে গ্রিল করলে প্লেটটা দেখতেও সুন্দর হয়, খেতেও হয় অসাধারণ।
মেনু সম্পূর্ণ করতে স্যালাড রাখতেই হবে। চিকেন, প্রন বা কর্ন মেয়োনিজ স্যালাড, কিংবা হালকা পাস্তা স্যালাড খাবারের ভার কমায়, আবার স্বাদও বাড়ায়।

সবশেষে ডেজার্ট। মিষ্টি ছাড়া তো উৎসবই হয় না। ব্রেড পুডিং ক্রিসমাসের (christmas) সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেজার্টগুলোর মধ্যে একটি। ক্যারামেল বা সিনামনের স্বাদে সহজেই এটি বানিয়ে ফেলা যায়। চকোলেট আর চেরির জুটি এই সময়ের আরেকটা ক্লাসিক ডেজার্টের মধ্যে পড়ে। চকোলেট ক্যারামেল টার্ট, ফন্ডে, চেরি ট্রাফল বা চেরি চিজকেক যে কোনওটাই অতিথিদের মুখে হাসি আনবেই।

সব মিলিয়ে ক্রিসমাসের (christmas) মেনু মানেই যে কন্টিনেন্টাল হতেই হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। নিজের রুচি আর পার্টির মেজাজ অনুযায়ী চাইনিজ, ভারতীয় বা একেবারে বাঙালি খাবারেও জমে উঠতে পারে উৎসব। আসল কথা, খাবারের সঙ্গে যেন আনন্দটা ভাগ করে নেওয়া যায়। আর সেটাই ক্রিসমাসের সবচেয়ে বড় রেসিপি।

Latest article