প্রতিবেদন : সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবিতে বিজেপি-বিরোধী দলগুলি জোটবদ্ধ। তাই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে পরবর্তী কৌশল কী হবে তা স্থির করতে উদ্যোগ শুরু করেছে বিরোধী দলগুলো। বুধবার দিল্লিতে একথা জানালেন তৃণমুল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন। মাঝে একমাস বাকি। সূত্রের খবর, জুনের শুরুতেই সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবিতে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, শিবসেনা (উদ্ধব) আরজেডি, এনসি, জেএমএম, আপ, সিপিআই (এমএল), মিমের মতো বিরোধী দলগুলি একমত হয়েছে। দলনেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ অধিবেশনের দাবির কথা উল্লেখ করে বুধবার দিল্লিতে লোকসভা সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন,পাকিস্তানের জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে এবং অপারেশন সিঁদুর ইস্যুতে কেন্দ্রকে তৃণমূল সর্বতোভাবে সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে স্পষ্ট দাবি বিশেষ অধিবেশনের। দেশ জানতে চায় ঠিক কী ঘটেছিল। তৃণমূলের যুক্তি, ১৯৭১ যুদ্ধের প্রেক্ষিতে এবং ২০০১ সালে সংসদ ভবনে জঙ্গি হামলার পরে ডাকা হয়েছিল সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সেই সময় সরকার মতামত নিয়েছিল সব পক্ষের। এবারেও সেটাই জরুরি। জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা নয়, বিদেশ থেকে প্রতিনিধি দল ফিরলে জুনেই ডাকতে হবে বিশেষ অধিবেশন। দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। এই দাবিতে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তৃণমূল সাংসদেরা।
আরও পড়ুন- সম্প্রীতির বার্তা বয়ে চলেছে ভবানীপুর