প্রতিবেদন: হিংসা এবং অসভ্যতা অব্যাহত বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে। আবার পোড়ানো হল ইসকন সেন্টার। এবার নামহট্টের ইসকন সেন্টারে আগুন লাগিয়ে বাড়ি-ঘর-মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ন্যাসী রাধারমণ দাস এক্স-হ্যান্ডেল এই খবর দিয়ে জানান, ঢাকায় আর একটি সেন্টারেও ছাদ ভেঙে ঢুকে এমনভাবে আগুন লাগানো হয়েছে যাতে মূর্তি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। এর মাঝে ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্নাত্মানন্দ ইউনুসকে চিঠি লিখে বলেছেন, মুক্তি দিন চিন্ময়কৃষ্ণকে। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিই উজ্জ্বল হবে। কিন্তু বাংলাদেশ অসভ্যতা বজায় রেখে এদিন ভারতকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে। বর্তমান সরকারের হিংসাত্মক কার্যকলাপ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে উপাচার্য পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন অনুপম সেন। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ইউনুসের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি রিফাত আহমেদ। বললেন, কেউ যেন বিনা বিচারে জেলবন্দি না থাকে। বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রভাব মুছতে টাকা বদলানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এবার রবি ঠাকুরের জাতীয় সঙ্গীতও বদলাতে উদ্যোগ। এর মাঝে প্রাক্তন সেনাকর্মীরা মিছিল করে কলকাতা দখলের হাস্যাস্পদ হুমকি দিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের খেলো করেছে। অশান্তিতে শিলিগুড়ি-ঢাকা বাসও বন্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন-অভিষেকের হাত ধরে দলে যোগ অসমের বড়ঠাকুরের
বাংলাদেশের ডামাডোলের জেরে স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতি। ভারতের উত্তর-পূর্বকে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ঢাকা। মিছিল থেকে সেভেন সিস্টার্সে আগুন জ্বালানোর বার্তাও দেওয়া হয়। এবার প্রশাসনিকভাবে বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের ব্যান্ডউইথ ট্রানজিটের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশের পথে হাঁটল বাংলাদেশ। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করে ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছিল ভারত। শেখ হাসিনা জমানায় বাংলাদেশ সীমান্তে এই ট্রানজিট স্থাপনের কথাও পাকা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার সেই প্রস্তাবে অনুমতি দিল না। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ভারতবিরোধী জিগিরের পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি উড়ানের রাস্তা খুলে দিচ্ছে বাংলাদেশ। বাণিজ্য সংযুক্তির পর এবার সরাসরি উড়ান চালুর পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে ইউনুস সরকার আসলে কাদের হাতের পুতুল।