আবার অমর্ত্যকে চিঠি, সীমা ছাড়াচ্ছেন উপাচার্য

Must read

প্রতিবেদন : ফের জমি-বিতর্কের প্রসঙ্গ তুলে পত্রাঘাত করা হল বিশ্ববরেণ্য শিক্ষাবিদ নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen- Bidyut Chakraborty)। এর আগে একই অভিযোগে দুটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এবারের চিঠিতে আরও আক্রমণাত্মক বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তেরো ডেসিমেল জমি উদ্ধার প্রসঙ্গে বিশ্বভারতী বলছে, অবৈধ জমি দখলকারী উচ্ছেদে ব্যক্তি কোনও বিষয় নয়। এমন আপত্তিকর মন্তব্য করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ফের নোবেলজয়ী ও বাংলার গৌরবকে অপমান করল। এরই মধ্যে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও এদিন এই বিতর্কে মুখ খুলে অমর্ত্য সেনকে অপমানজনক ভাষায় আক্রমণ করেন। এরপরই তাঁকে পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। অথচ রাজ্য সরকারের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের নথি পরিষ্কার বলছে, পুরো এক একর আটত্রিশ শতক জায়গার মালিকানা রয়েছে অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেন ও মা অমিতা সেনের নামে। পুত্র হিসেবে যা ভোগদখলের অধিকারী অধ্যাপক অমর্ত্য সেন। কিন্তু তবুও বাংলার গর্বকে অপমান করতে পিছপা হচ্ছে না বিশ্বভারতী। শুধু তাই নয়, চিঠিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বোল্ড অক্ষরে লিখেছে যে, অমর্ত্য সেনের বাসভবন প্রতীচী যে জমিতে তৈরি তার মালিকানা বিশ্বভারতীর হাতে। বর্তমানে ওই জায়গা সংশ্লিষ্ট ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের নথিতে অমর্ত্য সেনের নামে নেই। তাঁর পিতার নামে আছে। এমন সব হাস্যকর যুক্তির পিছনে অনেকেই রাজনীতি খুঁজে পাচ্ছেন। তা জানতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে (Amartya Sen- Bidyut Chakraborty) ফোন করলে তিনি অত্যন্ত রুঢ় ভাষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যাযয় বলেন, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের যে পরচা অনুযায়ী বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে, তা ১৯৪৩ সালের লিজের। ২০০৬ সালে বিশ্বভারতীর তদানীন্তন উপাচার্য রজতকান্তি রায়কে হাভার্ড থেকে অধ্যাপক সেন চিঠি লেখেন। তারপর বিশ্বভারতীর অনুমতিতে সেন পরিবারের নামে এক একর পঁচিশ শতক জায়গার মিউটেশন করতে দেওয়া হয়। বাকি ১৩ ডেসিমেল জমির কোনও মিউটেশন করা হয়নি। তাই ওই জায়গা ফেরত দিতে হবে। কিন্তু সেই দাবি জানাতে গিয়ে তাঁরা অধ্যাপক সেনকে জমি দখলকারী বলে এখন অভিহিত করা হচ্ছে। ভারত সরকারের নির্দেশ এবং ক্যাগ রিপোর্টকে মান্যতা দিয়ে এই জমি উদ্ধার করা হচ্ছে। এদিকে তথ্য বলছে, বিশ্বভারতীর ১১৩৪ একর জায়গার মধ্যে ৭৭ একর জায়গা দখল হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে গত কয়েক বছরে ১৫ একর জায়গা দখল হয়েছে।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রের ভূমিকায় এবার প্রশ্ন প্রাক্তন বিচারপতির

Latest article