প্রতিবেদন : এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত চায় তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাই শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি নিয়ে মুম্বইতে সেবির সদর দফতরে যাচ্ছে তৃণমূলের চার সাংসদের প্রতিনিধি দল। শেয়ার কেলেঙ্কারি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও সেবির জবাবদিহি চায় তৃণমূল। এজন্য সেবি-চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচের কাছে চিঠি পাঠিয়ে মঙ্গলবার দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
আরও পড়ুন-ক্যানসারেও কাবু নন, ব্রিটিশ সেনার অনুষ্ঠানে সপরিবারে কেট
সেবি দফতরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে থাকবেন লোকসভার মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, রাজ্যসভার ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ ও সাংসদ সাকেত গোখেল। তবে শেয়ার কেলেঙ্কারি ইস্যুতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারে এখনও টালবাহানা চালাচ্ছে সেবি। তৃণমূলের অভিযোগ, যেভাবে ভুয়ো এক্সিট পোলকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে শেয়ার মার্কেটে স্টক কেনাবেচাকে ইচ্ছেমতো প্রভাবিত করা হয়েছে তা এ-যাবৎকালের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন জানান, তৃণমূল সাংসদরা সেবি সদর দফতরে যাওয়ার পাশাপাশি এনসিপি (শারদ গোষ্ঠী) প্রধান শারদ পাওয়ার ও মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা (ইউবিটি) প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গেও দেখা করবেন। ইন্ডিয়া শিবিরের এই দুই দলের নেতৃত্বের কাছে তৃণমূলনেত্রীর বার্তা পৌঁছে দেবেন তাঁরা। লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শেয়ার বাজারের বিরাট কেলেঙ্কারি নিয়ে অবিলম্বে তদন্তের দাবি জানাব আমরা। নির্বাচনী ফল প্রকাশের আগে এক্সিট পোল ফল নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে এবং পরবর্তী অধ্যায়ে ৪ জুন ফলপ্রকাশের দিন যেভাবে শেয়ার মার্কেটে ধস নেমেছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে হবে। সেইসঙ্গে এই ঘটনায় যাদের পকেটে টাকা ঢুকেছে, যারা মুনাফা করেছে এবং যে ৩১ লক্ষ কোটি টাকা বাজার থেকে স্রেফ উধাও হয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মানুষ, সে-বিষয়েও সেবির বক্তব্য আমরা জানতে চাইব। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে কী পদক্ষেপ তারা নিতে চলেছে তাও আমরা তাদের কাছ থেকে জানতে চাইব।