বৃহস্পতিবার, কলকাতাতে শুরু হল গঙ্গা আরতি। এদিনের এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ (Atin Ghosh), মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Dwibedi)-সহ অনেকেই। বিশেষ সময় বাদে প্রতিদিনই হবে গঙ্গা আরতি।
গরমকালে সন্ধে ৭টা
শীতকালে সন্ধে ৬টা
আরও পড়ুন-মেঘালয়ে জয়ী ৫ তৃণমূল প্রার্থী, টুইটবার্তায় ধন্যবাদজ্ঞাপন অভিষেকের
গঙ্গাপুজো ও আরতি করে এই কর্মসূচির সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে মন্ত্র অঞ্জলি দেওয়ান গঙ্গার ঘাটে থাকা পুরোহিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কাশীতে গঙ্গা আরতি দেখে এসেছিলাম। সেখানে গিয়েই এই আরতির বিষয়টি আমার মাথায় প্রথম এসেছিল। কলকাতাতেও গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করা হল। পুজোয় বিসর্জনের সময় বাবুঘাটে গঙ্গা আরতি বন্ধ থাকবে।“ মুখ্যমন্ত্রী জানান, শীতকাল সন্ধে ৬টা ও গ্রীষ্মে সন্ধে ৭টার সময় বাজে কদমতলা ঘাটে গঙ্গা আরতি হবে । পাশাপাশি এই আরতি অনুষ্ঠিত হবে প্রতিদিন। গঙ্গা আরতি যাতে সকলে দেখার সুযোগ পায় তার জন্য দর্শকদের বসার জায়গা তৈরি করতে ফিরহাদ হাকিমকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা মেয়র বলেন, “কলকাতার ইতিহাসে আরও একটি নতুন পালক যুক্ত হল। কলকাতার বাবুঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে গঙ্গা আরতি শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই কাজ আজ বাস্তবে রূপ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। গঙ্গা আরতিতে পর্যটকদের আগ্রহ বাড়বে।“ রাজ্যের মুখ্যসচিব বলেন, “আমি নিজে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এখানে বহু মানুষ রোজ কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, বেলুড় মঠে দর্শন করতে আসেন। তাই এখানে গঙ্গা আরতির সূচনা হওয়ায় পর্যটকরা বিশেষ আকৃষ্ট হবেন।“