প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় সরকারের মুখাপেক্ষী না থেকে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী দু’বছরের মধ্যে ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এবারও ডিভিসির অনিয়ন্ত্রিত জল ছাড়ায় প্লাবিত ঘাটাল মহকুমা-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশ। এই আবহেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান দ্রুত রূপায়ণের লক্ষ্যে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তাঁরই পৌরোহিত্যে শনিবার নবান্নে আয়োজিত এই বৈঠকে স্থানীয় সাংসদ দীপক অধিকারী ছাড়াও সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, সেচ ও অর্থসচিব উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু না জানানো হলেও দীর্ঘদিনের এই প্রকল্পটিকে বাস্তবায়িত করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন-হরিয়ানার ভোটের চাবিকাঠি তাদেরই হাতে, দাবি আপের
দক্ষিণবঙ্গে বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতায় ১৯৮০ সালে এই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছিল। ৮২ সালে প্রকল্পটির শিলান্যাস হয়। এটি রূপায়ণের জন্য প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকার মোট ব্যয়ের ৭৫ শতাংশ অর্থ দেওয়ার কথা বলে। পরে তা কমিয়ে পঞ্চাশ শতাংশ করে। যদিও সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেনি কেন্দ্র। রাজ্য সরকারের তরফে ২০১২ সালে ১২০০ কোটি টাকার একটি বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের পরেও কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পটির জন্য কোন অর্থ বরাদ্দ না করায় রাজ্য সরকার নিজের তহবিল থেকেই সম্পূর্ণ অর্থ খরচ করে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেকথা নিজেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান মূলত ঘাটালকে ঘিরে থাকা মূল নদী এবং শাখা নদীগুলির নিয়মিত ড্রেজিং করা। যাতে সেগুলির জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে এবং বন্যার হাত থেকে ঘাটাল রক্ষা পায়। এই প্রকল্পের আওতায় পাম্প হাউস তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে চন্দ্রকোনা-ঘাটাল-দাসপুর-সহ পাশ্ববর্তী এলাকায়। নদীপথ সংস্কার করা হবে কংসাবতী ও শিলাবতীর। স্থানীয় খালগুলিতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ও খাল সংস্কারও করা হবে। সেই সঙ্গে ঘাটালের নদী ও খালগুলিতে লকগেট বাসানোও হবে।