প্রতিবেদন : অবশেষে এসে গেল বহু প্রতীক্ষিত সেই দিন। প্রায় ছয়মাস পর রবিবার সকাল থেকে রাজ্য জুড়ে স্বাভাবিক হয়ে গেল লোকাল ট্রেন পরিষেবা। ট্রেনের চাকা গড়াতেই চেনা ভিড়ের ছবি ফের যেমন ফিরল, তেমনি ফিরে এল হকারদের হারিয়ে যাওয়া হাসি মুখের ছবিও। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন আমজনতাও। যদিও এদিন সকাল থেকে রাজ্যের কয়েকটি প্রান্তে লোকাল ট্রেনে ভিড়ের যে ছবি ধরা পড়েছে তা দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। করোনা প্রতিরোধে গত মে থেকেই রাজ্য জুড়ে স্তব্ধ হয়েছিল লোকাল ট্রেন পরিষেবা। নন সুবার্বান লোকাল ট্রেন প্রায় সবই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। খালি সুবার্বান এলাকায় কিছু লোকাল ট্রেন চলছিল স্টাফ স্পেশাল হিসাবে।
আরও পড়ুন-শাওনি সিংহরায়কে একশোয় দুশো দিলেন চন্দ্রিমা, কিন্তু কেন?
একই সঙ্গে মেল এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেনের পরিষেবাতেও রাশ টানা হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই সব ট্রেনের অনেকগুলিই চালু করা হয় ধাপে ধাপে স্পেশাল ট্রেন হিসাবে। যাদের রুট, স্টপেজ, সময়সূচি এক হলেও বদলে দেওয়া হয়েছিল ট্রেনের নম্বর। বাড়ানো হয়েছিল ভাড়াও। এখনও দেশ জুড়ে কার্যত সেই অবস্থাই চলছে। তবে অগাস্ট মাস থেকেই বাংলায় পূর্ব রেল শহরতলি লোকাল ট্রেনের এলাকায় স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে শুরু করে দিয়েছিল। ধাপে ধাপে তা প্রায় ৫০ শতাংশ করে দেওয়া হয়। এর ফলে বাদুড়ঝোলা ভিড় হলেও দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমান জেলার মানুষদের কলকাতায় আসতে বা কর্মস্থলে যেতে খুব একটা বেশি সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়নি। পূর্ব রেলের নন সুবার্বান লোকাল ট্রেনও আগস্ট মাস থেকেই চালু হয়েছিল। কিন্তু তা ছিল সংখ্যায় খুব কম। ফলে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষদের কিছুটা হলেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তবে এদিন থেকেই পূর্ব রেলের সব শাখাতেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। আবার দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ এবং উত্তর-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জুন মাস থেকে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালালেও তা ছিল হাতেগোনা। পরে রাজ্যের অনুরোধে এই দুই রেল কর্তৃপক্ষই স্টাফ স্পেশাল ট্রেন কিছু বাড়ানোর পাশাপাশি তাতে আমজনতার ওঠার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করে। এদিন থেকে অবশ্য এই দুই রেলেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় এদিন নিত্যযাত্রীরা মিষ্টি বিলি করে বা কেক কেটে আনন্দ করেছেন।