স্থানীয়দের পর্যবেক্ষণে আরও জোরদার হল পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি, মুর্শিদাবাদের চক্রান্তের পিছনে বিএসএফ, কেন্দ্রীয় এজেন্সিও!

মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও ধূলিয়ানে গন্ডগোলের ঘটনায় জড়িত মাস্টারমাইন্ডদের কাউকেই চিনতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।

Must read

প্রতিবেদন : মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও ধূলিয়ানে গন্ডগোলের ঘটনায় জড়িত মাস্টারমাইন্ডদের কাউকেই চিনতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। যে মুখগুলিকে তাঁরা অশান্তি পাকাতে ও করতে দেখেছেন তারা এলাকার কেউ নয়। সব বাইরে থেকে আসা লোক। স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে চাইছেন, এরা কোথা থেকে এল? কারা নিয়ে এল এদের। বাইরে থেকে এল, গন্ডগোল করল, আবার উধাও হয়ে গেল? গোটা প্লটে অত্যন্ত সুপরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট। শুধু তাই নয়, এই বহিরাগতদের এলাকায় ঢোকানোর পিছনে কি বিএসএফের হাত রয়েছে! সীমান্তের একাংশ খুলে দিয়ে লোক ঢুকিয়ে হামলা করানো হল? এলাকায় গুলি চলেছে। মৃত্যুও হয়েছে। পুলিশ গুলি চালায়নি। তবে কে চালাল? বিএসএফের পোশাক পরে তবে কারা চালাল গুলি? সঙ্গে কি আরও কিছু কেন্দ্রীয় এজেন্সি এই পরিকল্পনায় যুক্ত? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন-আজ কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

রবিবার এই প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, ওয়াকফ আইনের ক্ষতিকর কোনও দিক এ-রাজ্যে প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু তারপরও কিছু জায়গা থেকে হিংসার খবর এসেছে। যেখানে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে একটা অভিযোগ আসছে যে বিএসএফের একাংশের সহযোগিতায় সীমান্ত থেকে কিছু হামলাকারীকে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাকে বদনাম করার জন্য, এটাকে ইস্যু করার জন্য, প্ররোচনা দেওয়ার জন্য এই গন্ডগোল করানো হয়েছে। যে মুখগুলো গন্ডগোল করেছে তাদের মূল পান্ডাদের এলাকার মানুষ চিনতে পারছেন না। যারা অশান্তি করেছে নিশ্চয়ই পুলিশ তাদের ধরছে। কিন্তু অভিযোগ আসছে, কিছু রাজনৈতিক দলের কোনও অংশ কেন্দ্রের কিছু কিছু এজেন্সির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বা কেন্দ্রের এজেন্সির পরিচালনায় গোপন ব্লু প্রিন্টের মাধ্যমে বিএসএফের একাংশকে কাজে লাগিয়ে দুষ্কৃতী হামলাবাজ যারা এই ধরনের কাজ করে তাদের ঢুকিয়ে গন্ডগোল করিয়ে আবার বেরিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে। কারণ, এদের যারা উসকাচ্ছে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকার মানুষদের চিনতে পারছে না। এরাই গন্ডগোল তৈরি করেছে, এরাই আগুন জ্বালিয়েছে। আমাদের আবেদন, বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না আপনারা। শুধু তাই নয়, নিজেদের পরিকল্পনাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে এবং বাংলাকে বদনাম করতে তারা ভুয়ো ছবিও ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এখানেই ভেবে দেখার যে, এই সেদিন পর্যন্ত বিজেপির একাধিক গোষ্ঠীর নেতারা নিজেদের মধ্যে কাজিয়ায় ব্যস্ত ছিল। আচমকা এরা একসুরে গাইতে শুরু করেছে। এরা বারবার বলছে এনআইএ চাই। রাষ্ট্রপতি শাসন চাই। তবে কি পরিকল্পিত অশান্তিতে রাজ্যকে বিপাকে ফেলে সংঘর্ষ জারি রেখে মৃত্যু ঘটিয়ে রক্তের বন্যা বইয়ে তার উপর দিয়ে ক্ষমতা দখলের খোয়াব দেখছে বিজেপি! তা না হলে এজেন্সি ও রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বারবার আসবে কেন? অন্যান্য রাজ্যে এই কায়দাতেই শান্তি নষ্ট করে ক্ষমতা দখলের রাস্তা তৈরি করেছে বিজেপি। বাংলাতেও তাই করতে চাইছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সর্বশক্তি দিয়ে রাজনৈতিকভাবেই তা রুখে দেবে।

Latest article