সংবাদদাতা, মহিষাদল : লোকসভা ভোটের পর থেকেই কার্যত উধাও মহিষাদলের বিজেপি পরিচালিত বেতকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান। যার ফলে সাধারণ মানুষজনের বিভিন্ন পরিষেবা পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মাসের পর মাস নিজের বাবার ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়ায় এবার ক্ষোভে অঞ্চল অফিসে তালা লাগিয়ে দিলেন বেতকুন্ডু অঞ্চলের জগৎপুর গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ আবুল কাসেম।
প্রায় চার মাস আগে তাঁর পিতৃবিয়োগ হয়। এরপর থেকেই বাবার মৃত্যুর শংসাপত্র নেওয়ার জন্য প্রায় দশবার ঘুরে গিয়েছেন তিনি অঞ্চল অফিস থেকে। কিন্তু মেলেনি সেই সার্টিফিকেট। কখনও বলা হয়েছে, বিডিও অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে, কখনও এসডিও অফিসে। এসডিও অফিস থেকে পারমিশন নিয়ে আসার পরেও তাঁকে অঞ্চল অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে অঞ্চল অফিসে দীর্ঘ প্রায় তিন মাস প্রধান এবং উপপ্রধান না আসার ফলে ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য প্রয়োজনীয় ডিওসি মিলছে না। এবার স্থানীয় মানুষজনের সাহায্য নিয়ে অঞ্চল অফিসের সমস্ত স্টাফকে বাইরে বের করে মূল গেটে তালা লাগিয়ে দেন তিনি। আবুল কাশেমের বক্তব্য, চার মাস ধরে বাবার মৃত্যুর শংসাপত্র পাওয়ার জন্য ঘুরছি। আমার বাড়ি দেখিয়ে লোন নেওয়া আছে। ১৫ তারিখের মধ্যে ডেথ সার্টিফিকেট না দেখাতে পারলে বাড়ি নিলাম হয়ে যাবে। এবারেও প্রধানের দেখা না পাওয়ায় তালা লাগাতে বাধ্য হয়েছি। লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে এলাকায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ মহিবুল। সেই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় প্রধান ঝর্নারানি দাস এবং উপপ্রধান অর্ধেন্দুশেখর জানার নাম উঠে আসে। তারপর থেকেই কার্যত এলাকা ছাড়া এই দুজন। অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি শেখ বাপি জানান, বিজেপি মানুষকে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। দীর্ঘদিন ধরে মানুষ প্রধান, উপপ্রধানের দেখা পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে আজ তালা লাগিয়েছেন।