বৃহস্পতিবার দুপুর ১.৫০ নাগাদ ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে গুজরাটের মেঘানী নগরে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি ভেঙে পড়ল। যেখানে বিমানটি ভেঙে পড়েছে সেটা একটি আবাসিক এলাকা বলে মনে করা হচ্ছে। ওই এলাকার সমস্ত রাস্তা ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওড়ার সময় এয়ার ইন্ডিয়ার এই আহমেদাবাদ-লন্ডন বিমানটি ভেঙে পড়ে। বিমান বন্দরের শেষ প্রান্তে গিয়ে আগুন লাগে বলে খবর। নিমেষের মধ্যেই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। দ্রুত গতিতে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তৎপরতার সঙ্গে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমান থেকে সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে। দুর্ঘটনার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মেঘানিনগর এলাকায় থাকা বিমানবন্দরের আশপাশের বাড়িও।
আরও পড়ুন-মহারাষ্ট্রে স্বামীকে ঘুমের মধ্যে কুপিয়ে খুন মহিলার
প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, আহমেদাবাদ ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট ঘটনাস্থলে কমপক্ষে ১০টি দমকলের ইঞ্জিন মোতায়েন করেছে। দুর্ঘটনার কারণ এবং বিমানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে দীর্ঘ পথের যাত্রার জন্য বিমানটিতে প্রচুর জ্বালানি ভরা হয় যার ফলে বিস্ফোরণ ও আগুনের তীব্রতা আরও বেড়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ডিজিসিএ জানিয়েছে ১২.০৬.২০২৫ তারিখে আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি ভেঙে পড়ে। বিমানটি রানওয়ে ২৩ থেকে ১ টা বেজে ৩৯ মিনিটে টেকঅফ করেছিল। বিমানটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন, যার মধ্যে ২ জন পাইলট এবং ১০ জন কেবিন ক্রু ছিলেন। বিমানটির পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল। তিনি একজন LTC অর্থাৎ, লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন। তিনি ৮২০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। তাঁর সঙ্গে কোপাইলট বা ফার্স্ট অফিসার হিসেবে ছিলেন ক্লাইভ কুন্ডার। তাঁর ১১০০ ঘন্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা ছিল। ATC অনুসারে, বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে রানওয়ে ২৩ ছেড়ে যাওয়ার পরেই এটিসিকে MAYDAY কল দেয়, কিন্তু তারপরে এটিসির করা কলে বিমানটি সাড়া দেয়নি। যাত্রা শুরু করার পরপরই বিমানটি বিমানবন্দরের বাইরে মাটিতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।