সংবাদদাতা হুগলি : কথায় বলে হাতকাটা জগন্নাথ (Jagannath)! কিন্তু মাহেশের নবযৌবন উৎসবের দিন সেই অপবাদ ঘোচে প্রভুর। এই দিনই একমাত্র জগন্নাথদেবের হাত দেখা যায় মহেশের মন্দিরে। নবযৌবন উপলক্ষে জগন্নাথদেবকে (Jagannath) পরানো হয় রুপোর হাত। ভক্তরা বিশ্বাস করেন জগন্নাথদেব রাজবেশে থেকে সমস্ত ভক্তকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেন। একদম রাজবেশে সাজানো হয় মহাপ্রভুকে। এবারে মাহেশের রথযাত্রা পা দিল ৬২৯ বছরে। তার আগেই উদযাপিত হল নবযৌবন উৎসব।
আরও পড়ুন-হিমাচলে হড়পা বান, ভেসে গেলেন অন্তত কুড়ি
স্নানযাত্রার পর জ্বর আসে জগন্নাথ-বলরাম ও সুভদ্রার। ১৫ দিন পর মহাপ্রভু সুস্থ হয়ে উঠলে সেই দিনটিকে পালন করা হয় নবযৌবন উৎসব রূপে। কথিত রয়েছে, জগন্নাথদেব এইদিন জ্বর থেকে সেরে উঠে মহানন্দে থাকেন। কথিত রয়েছে এই নবযৌবন উৎসবের পরেই জগন্নাথদেব রথে চড়ে ঘুরতে বের হবেন তাঁর মাসির বাড়ি। এদিন মহাপ্রভু জন্য ৫৬ রকম ভোগ নিবেদন করা হয়। দীর্ঘ ১৫ দিন মন্দিরের মধ্যে নিভৃতবাসে থাকার পর এদিনই প্রথম মহাপ্রভুকে দর্শনের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হয়। মাহেশের নবযৌবন উৎসবের তোড়জোড় শুরু হয় একদম সকাল থেকেই। ঘড়ির কাঁটায় সাতটা বাজতে না বাজতেই মন্দিরের মূল ফটক-সহ গর্ভগৃহের দরজা খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য। এইদিন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও পালিত হয় নবকলেবর উৎসব।
শৃঙ্খলা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সমস্তরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাস্তার দু-পাশে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার দিক থেকে কোনওরকম ফাঁকফোকর রাখতে চাইছেন না পুলিশ প্রশাসন, মন্দির কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় পুর প্রশাসন। ইতিমধ্যেই রথযাত্রা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে তার সমস্ত রকম ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে গেছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি অমিত পি জাগলভি, জেলাশাসক মুক্তা আর্য, শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক-সহ বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তারা। মন্দির কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ সতর্কতা।