দেবতাদের তিনি আদি! তবে সে বিতর্কের দীর্ঘ ব্যাখ্যা রয়েছে। তিনি বাংলার কৃষি ও কৃষকের দেবতা! বাংলার সৃষ্টির অজ শিব (Lord Shiva)। এ-যেন ধর্মের ধারণা। তিনি তাঁর শূল দিয়ে মাটি কোপানোর কাজ করে গিয়েছেন। আর যে ত্রিশূল তাঁর, সে তো ভিন্ন তত্ত্ব। এক্ষেত্রে ত্রিশূল অর্থ তিনটি শূল। এই তিন শূলের আধ্যাত্মিক মানে, দ্যুলোক, ভূলোক এবং অন্তরীক্ষলোক। এই তিন লোকের সংহার করার জন্য মহাদেব এই ত্রিশূল ধারণ করেছিলেন। আধ্যাত্মিক ভাবে— দ্যুলোক মানে মস্তকপুরী, ভূলোক মানে দেহরাজ্য আর অন্তরীক্ষলোক মানে সূক্ষ্মজগৎ। এই মায়াজগৎ নিয়েই জীবের অস্তিত্ব। শিবের শিরে চন্দ্রমা, সে তো মায়ার প্রকাশ। এককথায় এ-যেন চন্দ্র-শোভিত শিবের জটা। তাঁর জন্মমাস শ্রাবণ। নন্দী নামের হিন্দু দেবতা শিবের বাহন। শিবপুরাণ অনুযায়ী ভগবান শিবের ১৯টি অবতার রয়েছে। ধ্যানমগ্ন যোগী দেবাদিদেব মহাদেবের মূর্তিটিকে আপামর ভারতবর্ষের মানুষ নিজের করে নিয়েছেন। ভারতবর্ষের প্রাচীনতম দেবতাদের তিনি একজন। সিন্ধু সভ্যতায় প্রাপ্ত পশুপতি মূর্তিটি থেকেই আদি শিবের বিবর্তন হয়েছে বলে মনে করেন ঐতিহাসিকেরা। এই বিবর্তন নানা পথে। সেই সঙ্গে বৈচিত্রও তো কিছু কম নয় শিবকে ঘিরে। মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে একাত্ম করে নিয়েছেন এই দেবতাকে।
আমাদের বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে একসময় শৈব সম্প্রদায়ের বসবাস ছিল। গুপ্তযুগ থেকে ব্রাহ্মণ্য ধর্মের প্রভাবে তাঁরা কিছুটা পিছনের সারিতে চলে যান। কিন্তু দিন বদলে গেলেও বাঙালির লোকজীবনে তাঁদের ছাপ থেকে যায়। আমাদের বড় আদরের, আপনার শিবকে নিয়ে নানান লোককথার জন্ম দিয়েছে বাঙালি। ছড়াও কাটে। আর শিবের পার্বতী যেন বাঙালির ঘরের কন্যা। আর সে যেন জামাই! শিব (Lord Shiva) জাতভিখারি। শ্মশানে-মশানে ছাই মেখে ঘুরে বেড়ায়, এই তাঁকে নিয়ে রটনা। এভাবেই শিবের ছবি এঁকেছে বাঙালি আজীবন। সেই লড়াকু শিবের হাতেই নাকি মর্ত্যের চাষাবাদের গোড়াপত্তন। সেই কাহিনি শোনা যায় শিবায়নের পালাতে।
দেবাদিদেব মহাদেব একদিকে যেমন সৃষ্টি করেন, অন্যদিকে প্রলয়ও করেন তিনি। শান্ত হয়ে পাহাড়ের নির্জনে বসে গভীর ধ্যানে মগ্ন, আবার পরক্ষণেই ডমরু, ত্রিশূল হাতে রুদ্ররূপ ধারণ করেন তিনি। দেবাদিদেব শিব ভারতের ধর্মে-সংস্কৃতিতে জড়িয়ে রয়েছেন এভাবেই। সিনেমায়, গল্প-কথায়, পৌরাণিক আখ্যানে তিনি বেশ জনপ্রিয়। বহুরূপীর বহুরূপেও তাঁকে পায় আমরা। শিবের নায়কপ্রতিম ইমেজের বাইরে গিয়ে বাংলায় তিনি হয়ে উঠেছেন ঘরের ছেলেটি। বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে বেড়ে গিয়েছিল। তাতে যেন খানিকটা পিছনেই চলে গিয়েছিল সনাতন ধর্ম। সেই সময়েরই আশপাশে বাংলায় শিবের প্রবেশ বলে মনে করেন ঐতিহাসিকগণ। বাণগড়ের ধ্বংসস্তূপ থেকে যে চিহ্ন পাওয়া যায়, তা দেখে প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা এটি সম্ভবত মৌর্য এবং সুঙ্গ যুগের। গুপ্ত আমলে শৈব উপাসক রাজা শশাঙ্কের প্রাধান্য বাড়তে থাকে। বাংলার এই কৃষকের দেবতা শিবের প্রিয় ফুল কলকে, ধুতরো, আকন্দ এবং নীল অপরাজিতা। তিনি এই বিষধর ফুলের বনেই থাকেন মগ্নপ্রায়। শিবরাত্রির দিন অবশ্যই তাই প্রিয় ধুতরো এবং আকন্দের মালা নিবেদন করা হয় মহাশক্তি মহাদেবকে। কথিত আছে তাতে নাকি পূর্ণ হবে মনোবাঞ্ছা।
আমরা বাঙালিরা জানি, যে কোনও পুজোর প্রধান উপকরণ হল ফুল। কৃষকের এই দেব, দেবাদিদেব শিবকে দুধ-ঘি-মধু মাখিয়ে স্নান করানো হয় ডাবের জল বা গঙ্গাজল দিয়ে। এই রীতি। এরপর বেলপাতা আর আকন্দের মালা পরিয়ে দিয়ে পুজো দেওয়া হয়, নৈবেদ্য উপাচারে। ভোলানাথের শিবলিঙ্গ (Lord Shiva) স্নান করিয়ে ভক্তিভরে পুজো দেওয়া হয়, শিবের মাস, শ্রাবণ মাস জুড়ে, তিন ফুল দিয়ে। শ্রাবণ মাস কৃষকদের কাছে তাৎপর্যের। ফসলের বীজতত্ত্বের খেলা চলে এসময় প্রকৃতির লীলাভূমি জুড়ে।
তাই সেসময় শিবেরও আরাধনার সময়। বলেন তাত্ত্বিকেরা। আকন্দের মালা শিবরাত্রির দিনে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, শ্রাবণ মাসের প্রত্যেক সোমবারও আকন্দের মালা পরিয়ে রাখা হয় শিবকে। এ ছাড়াও পাঁচ রকম গোটা ফল শিবকে নিবেদন করা হয় শ্রাবণ মাসে। সেই ফলের মধ্যে বেল, শসা, আম, নাসপাতি, শাঁখআলু এসব কিন্তু অবশ্যই রাখবেন। শাস্ত্র মতে সবুজ হল শিবের প্রিয় রং। কারণ তিনি কৃষকের দেবতা বলেই, ফসলের সবুজ তাঁর প্রিয়। গোটা শ্রাবণ মাস জুড়ে শিবচালিসা আর শিবপুরাণ পাঠ করা হয় দেবালয়ে-দেবালয়ে। মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র বা পঞ্চশংকর মন্ত্র জপও করেন ভক্তরা। মহাশিবরাত্রিতে রাত্রি জাগরণের প্রথাও প্রচলিত রয়েছে। সেইসঙ্গে শ্রাবণের সোমবার মন্দিরে-মন্দিরে রাত্রি জাগেন ভক্তের দল। তখন বাইরে চলে শ্রাবণধারা।
পুরাণ মতে, শ্রাবণ মাসেই সমুদ্রমন্থন ঘটেছিল। সেই সময় মহাদেব, হলাহল বিষ পান করেছিলেন। সেই সময় বিষের তেজে তাঁর শরীর নীল হয়ে যায় বলেই শিবের (Lord Shiva) আরেক নাম ‘নীলকণ্ঠ’। সেই সময় দেবী পার্বতী তাঁর স্তনদুগ্ধ পান করিয়ে দেবাদিদেবের সমস্ত জ্বালা প্রশমন করেছিলেন। এই ভাবেই সৃষ্টি রক্ষা করেছিলেন মহাদেব, তাই তাঁকে সৃষ্টির রক্ষাকর্তা বলা হয়। শ্রাবণ মাসে এ-জন্যেই বিশেষভাবে পুজো করা হয়।
এই মাসের শুরুতে, শিবভক্তরা হরিদ্বার, হৃষীকেশ, গোমুখ থেকে গঙ্গার জল ভরে এবং বম-বম ভোলে বলে খালি পায়ে বাবার মন্দিরে শিবলিঙ্গের উপর জল দেন। চাড়ি মোবারক, অমরনাথযাত্রা, রক্ষাবন্ধন, দৈনিক রুদ্রাভিষেক, সোমওয়ার ব্রত এবং শিব চৌদাসকে কাবাদ জলাভিষেক, মঙ্গলা গৌরী ব্রত, হরিয়ালি তীজ এবং নাগপঞ্চমী ইত্যাদি নিয়ে এটা হল শিবআরাধন মাস। শিবের পুজোয় গঙ্গাজল দিয়ে শিবকে অভিষেক করাই শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়।
শ্রাবণ-সোমবার অনেকেই শিবের (Lord Shiva) পুজো সন্ধ্যেতেও দেন। নিজের সুবিধেমতো আপনি-আপনি পুজো সারা যায় যখন খুশি। এক্ষেত্রে মনের ভক্তিই আসল। নতুন বস্ত্র দেওয়া হয় শিবকে। আর এই সব সামাজিক কাজের মাধ্যমেই কিন্তু মনস্কামনা পূরণ হয়, এমনই লোকবিশ্বাস। সংসারের সুখ-শান্তি বজায় রাখতে এবং প্রিয়জনের মঙ্গলকামনায় অবশ্যই কলকে-আকন্দ-নীল অপরাজিতা আর ধুতরো ফুল দিয়ে শিবের পুজো করা হয়, শ্রাবণ মাস জুড়ে। পুজো দিয়ে সেদিন নিরামিষ আহার করেন মেয়েরা। পুরুষও শ্রাবণের শিবের উপবাস রাখেন। পোড়া বা সেঁকা জাতীয় কোনও খাবার এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল হয়। সেই সঙ্গে জল, ডাবের জল এসবও কিন্তু খাওয়া যেতে পারে। অনেক পরিবারে এই শ্রাবণ মাসের শিবপুজো অন্য নিয়মেও রয়েছে। শ্রাবণের সোমবার শিবের মাথায় জল ঢেলে হবিষ্যি বা পন্ডা ভাত খান অনেকেই। মাখন, আলু গোবিন্দভোগ চালের গলাভাত অথবা মটর ডাল সেদ্ধ করে গোল গোল বলের মতো করে ভাতের মধ্যে দিয়ে একসঙ্গে ফ্যানভাতের মতো। একে পন্ডা ভাতও বলেন অনেকেই। এই ভাত খেতে বসে একবারে খেয়ে উঠে যেতে হয়, কোনও কথা না বলে। কথা বলা যাবে না এটাই নিয়ম আর সঙ্গে থাকবে একটা কলা।
শিব-আরাধনার মাস হিসেবে হিন্দুশাস্ত্রে শ্রাবণ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। শ্রাবণ মাসে ভগবান শিবের পুজোর অত্যন্ত গুরুত্ব রয়েছে এই বাংলায়। ১৪৩০ সনের বৈদিক ক্যালেন্ডারের সৌরমাস এবং চান্দ্রমাসের ভিত্তিতে গণনা করা হয়। এবার শ্রাবণ মাস ৩২ দিনের। আর মলমাস শ্রাবণ। ১৮ জুলাই থেকে ১৮ অগাস্ট, শ্রাবণ মাস। শ্রাবণমাসের ৭ শ্রাবণ সোমবার, ১৪ শ্রাবণ সোমবার, ২১ শ্রাবণ সোমবার, ২৮ শ্রাবণ সোমবার পড়েছে। এই চারটি সোমবার ধরে হবে শিব-আরাধনা।
আরও পড়ুন- নতুন ভারত আজি জাগ্রত দ্বারে জিতেগা INDIA
পবিত্র এই শ্রাবণ মাসে শিবের আরাধনায় সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, এই মুক্তি আসলে আধ্যাত্মিক মুক্তি। দেবাদিদেবের কৃপা পেতে সঠিক নিয়ম-নিষ্ঠার সঙ্গে সেই সকল ব্রত পালন করা প্রয়োজন। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিনে এই নিয়ম মেনে শিবপুজো করেন বাঙালিরা।
শ্রাবণ মাসে শিবপুজোর নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে শিবের (Lord Shiva) মাস শ্রাবণের প্রথম দিন বিশেষ নিয়ম মেনে শিবের আরাধনা করুন। সোমবার সকালে স্নান করে নতুন বস্ত্র পরিধান করুন। মন্দির পরিষ্কার করুন। শিবলিঙ্গের সামনে ধূপ জ্বালান। এবার ভগবান শিবকে তুষ্ট করতে বেলপাতা আর দুধ-মেশানো জল অর্পণ করুন। পাঠ করুন শিবচালিশা। নিষ্ঠার সঙ্গে শিবের আরাধনা করুন, ভক্তিমার্গে। শ্রাবণ মাসের সোমবারের ব্রতপালনের সঙ্গে সঙ্গে শিবলিঙ্গে জলাভিষেক করে, সারাদিন ব্রতপালন করতে হবে। মহাদেবের কৃপা লাভের আশায় ভগবান শিবের পুজোর সময় বিশেষ কয়েকটি জিনিস অর্পণ করতে পারেন। শিবের পুজোয় লজ্জাবতীপাতা ব্যবহার করতে হয়। লজ্জাবতী শনি দেবতার গাছ হিসেবে খ্যাত। এই গাছের পাতা শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন। তেমনই ধুতরা ফুল দিন। শ্রাবণ মাসে শিবপুজোয় ধুতরা ফুল ব্যবহার করা হয়। তবে বারো মাসই ধুতরা দিয়ে পুজো হয় শিবের। বিল্বপত্র অবশ্যই অর্পণ করা হয় শিবলিঙ্গে। শাস্ত্রমতে, বিল্বের মূলে স্বয়ং শিব বসবাস করেন। এই গাছ আজও গ্রাম-বাংলায় সন্ন্যাসী গাছ বলে খ্যাত। আকন্দ ফুল দিয়ে সাজানো হয় লিঙ্গকে। এই নিয়ম মেনে পুজো করলে সকল জটিলতা থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই।
নবগ্রহদের মধ্যে শনি এমনই একটি গ্রহ, যার নাম এলেই মানুষ ভয় পেয়ে যায়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান শিবের আশ্রয়ে গেলেই যে কোনও ব্যক্তি শনি-সংক্রান্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে শুরু করেন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, প্রদোষ সময় সোমবার বা শ্রাবণ মাসের ত্রয়োদশীতে রুদ্রাভিষেক বা ভগবান শিবের পুজো করলে শনি-সংক্রান্ত দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়া যে দোষগুলিকে জ্যোতিষশাস্ত্রে অত্যন্ত অশুভ বলে মনে করা হয় তার মধ্যে অন্যতম কালসর্প দোষ। এর কথা খুব শোনা যায়। শ্রাবণের শিবসাধনায় নাকি কালসর্প দোষ দূর হয়। সর্বোত্তম উপায় হিসাবে শ্রাবণ মাসে শিব-উপাসনায় পুরোহিতের পরামর্শে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করলে শীঘ্রই রাশি-সংক্রান্ত এই দোষ থেকে নাকি মুক্তি পাওয়া যায়।
ভগবান শিবকে বৈদিক, পুরাণ বা নামমন্ত্র দিয়ে পুজো করা হয়। সাধারণ মানুষ ওম নমঃ শিবায় বা ওম নমো ভগবতে রুদ্রায় মন্ত্র দিয়ে পুজো ও অভিষেক করতে পারেন। মন্দিরে গেলে শিবলিঙ্গের অর্ধ প্রদক্ষিণ করুন। হিমালয়ের কন্যা পার্বতী ভগবান শঙ্করকে পাওয়ার জন্য কঠোর তপস্যা করেছিলেন, তখনও ছিল শ্রাবণ মাস। এই মাসটি সমুদ্রমন্থনের সঙ্গেও সম্পর্কিত। পৃথিবীকে বিষ থেকে বাঁচানোর জন্য আদিনাথ ভগবান শঙ্কর তাঁর গলায় ধারণ করেছিলেন।
অপরদিকে, সারা বছরই শিবপুজো করে থাকেন সবাই। সোমবার মেনে ভোলেনাথের পুজো করা হয়। নিষ্ঠাভরে শিবের পুজো করলে সব কাজে সফল হওয়া সম্ভব হয়। শাস্ত্রমতে যে কোনও সোমবার পুজো করতে চন্দন, চাল, বেলপাতা, ধুতরা ফুল, আকন্দ ফুল, দুধ, গঙ্গাজল অর্পণ করলে মহাদেব তুষ্ট হন। বেলপাতা ত্রিফলক যুক্ত একটি পাতা। এখানেও ত্রিলোক বর্তমান। বিষধর ধুতরা ফুল। আর এই ধুতরা মহাদেব শিবের অত্যন্ত প্রিয় ফুল। তেমনই আকন্দ ফুল প্রিয় শিবের। কারণ আকন্দ ফুলের পাঁচটি খণ্ড থাকে, যা শিবের পঞ্চানন রূপকে নির্দেশ করে। এসব ছাড়াও তিল, মৃত্যুহীন দূর্বা ঘাস, আতপ চাল লাগে শিবের আরাধনায়।
শিবঠাকুরের আপন দেশে,
আইন কানুন সর্বনেশে!
কেউ যদি পা পিছলে প’ড়ে,
প্যায়দা এসে পাকড়ে ধরে,
কাজির কাছে হয় বিচার
একুশ টাকা দণ্ড তার।।
এমনই নানান আদুরে ছড়ায় শিববন্দনা চলে আমাদের বাংলায়।