সল্টলেকে (Saltlake) আবাসনের নীচ থেকে অদ্রিজা সেন নামের এক ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য। ১৩ বছরের অদ্রিজা ধর্মতলা লরেটোর সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। ২৯ জুন সল্টলেকের বিসি ব্লকের সরকারি বিচিত্রা আবাসনের নীচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উত্তর বিধাননগর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঠিক কীভাবে এই ঘটনা ঘটল সেটা এখনও পরিবারের কাছে স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন-চূড়ান্ত হেনস্থা! ওড়িশায় মাটিতে ফেলে মার সরকারি আধিকারিককে
অদ্রিজার বাবা সুব্রত সেন জেলা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন পরিদর্শক। মা চন্দনা সেন লবণহ্রদ বিদ্যাপীঠে বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। মেয়েটির বাবা এই বিষয়ে জানান ২৯ জুন রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন তিনি। মেয়েকে মুড়ি, চানাচুর, সিঙারা খেতে দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য বেরিয়েছিলেন। ৮টা ৪০ নাগাদ ফিরে এসে দেখেন মেয়ে বাড়ির নীচে পড়ে আছে। যন্ত্রণায় ছটফট করছে মেয়েটি। কিন্তু সেটা ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে নাকি ব্যালকনি থেকে সেই বিষয়ে কেউই বলতে পারে নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। তবে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে মানতে একেবারেই নারাজ অদ্রিজার বাবা। মেয়ের কোনও মানসিক অবসাদ ছিল বলেও তিনি জানান নি।
আরও পড়ুন-প্রাক্তনীদের ক্যাম্পাসে ঢোকা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করল যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজের ছাত্র সংসদ
সোমবার দেহের ময়নাতদন্ত হয় আরজিকর হাসপাতালে তবে প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে আসেনি। এই ঘটনার তদন্তে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। মেয়েটির ফোন সিজ় করা হয়েছে এবং মৃতের একটি ডায়েরিও পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।