ডায়মন্ড হারবারে সরিষা মোড়ে খোদ বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে এবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কনভয়। তিনি সেখানে পৌঁছতেই তাঁকে আটকে বিক্ষোভ, স্লোগান, রাজনৈতিক দোষারোপ শুরু হয় দলীয় কর্মীদের। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি এদিন একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই তাঁর কনভয় ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানের ফলে তৈরি হয় উত্তেজনা। শোনা যায় ”দিলীপ ঘোষ জিন্দাবাদ” স্লোগানও।
আরও পড়ুন-বিজেপি রাজ্যে সাইবার প্রতারণার শিকার হয়ে আত্মঘাতী আইনজীবী
সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল তাঁরা স্থানীয় বিজেপি কর্মী কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের প্রতি একেবারেই উদাসীন। কোনও সমস্যা হলে নেতারা পাশে দাঁড়ান না। ক্ষোভ উগরে তাঁদের বলতে শোনা যায়, ”আমরা মার খাই, আর নেতারা শুধু মঞ্চে বক্তৃতা দেন। আমরা জেলে যাই কিন্তু নেতারা আমাদের পাশে দাঁড়ান না। আমরা সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমরা বিজেপি কর্মী হওয়া সত্ত্বেও তিনি আমাদের সাথে দেখা করলেন না। আজ আমরা বুঝতে পারছি না সুকান্ত মজুমদার নেতা না শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল থেকে এসে শুভেন্দু নেতা হয়ে গেল আর তিনি তার কর্মীদের নিয়ে দলটা চালাচ্ছেন। সুকান্ত মজুমদার সেই লবিতে পা দিয়েছেন। অথচ যেই দিলীপ ঘোষ আমাদের পাশে ছিল তাঁকেই আমরা পাচ্ছি না।”
আরও পড়ুন-ভয়ঙ্কর! চিনে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু ১১ রেলকর্মীর
স্বাভাবিকভাবেই নিচুতলার কর্মীদের এই মন্তব্য ঘিরেই নতুন করে রাজনৈতিক তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। এই ঘটনা যে আগামী কয়েকদিন রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়াবে বলাই বাহুল্য। দলের অন্দরে যে পক্ষপাতিত্ব, স্বজনপোষণ ও নিচুতলার কর্মীদের প্রতি যে পরিমান অবহেলা চলছে, এদিনের এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়াবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। ভোটের মুখে প্রকাশ্যে এমন অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। এর মধ্যেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে তবে কী রাজ্য স্তরে বিজেপির অন্দরেই অসন্তোষ বাড়ছে? নাকি নিছকই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিরোধীদের কৌশল? তবে এই বিক্ষোভের ঘটনায় স্পষ্ট যে আগামী কয়েকদিনে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়তে চলেছে।

