হায়দরাবাদ, ২৭ মার্চ : ভেনু এক, বদলে গেল রেজাল্ট। ৯ মে, ২০২৪। সেদিন হায়দরাবাদের (lucknow super giants vs hyderabad) রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্যাট কামিন্সের দলের কাছে ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত হয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। ম্যাচের পরের ঘটনাও ছিল বিতর্কিত। লখনউয়ের টিম মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা সেদিন তাঁর অধিনায়ক কে এল রাহুলকে প্রকাশ্যে বকাঝকা করে ‘অসম্মান’ করেছিলেন। কার্যত সেই ঘটনার জেরেই রাহুলের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় লখনউয়ের। অভিষেক শর্মাদের ডেরাতেই এক বছর পর সেই ‘অপমানজনক’ হারের মধুর প্রতিশোধ নিল গোয়েঙ্কার টিম। বৃহস্পতিবার উপ্পলে হায়দরাবাদকে ৫ উইকেটে হারিয়ে মরশুমের প্রথম জয় তুলে নিল লখনউ।
লখনউয়ের (lucknow super giants vs hyderabad) নবাব দু’জন। নিলামে দল না পাওয়া শার্দূল ও ক্যারিবিয়ান ব্যাটার নিকোলাস পুরান। আগের ম্যাচে ২৮৭ রান করা হায়দরাবাদ এদিনও প্রথমে ব্যাট করে। কিন্তু তিনশোর লক্ষ্যে থাকা কমলা ব্রিগেডকে ব্যাটিং তাণ্ডব শুরুর কোনও সুযোগ দেননি শার্দূল। হায়দরাবাদকে দুশোর মধ্যে আটকে রাখে শার্দূলের (৪ উইকেট) স্পেল। তিনিই হলেন ম্যাচের সেরা। কমলা ব্রিগেডের ১৯০ রান তাড়া করতে নেমে ২৩ বল বাকি থাকতেই জয় হাসিল করে নেয় ঋষভ পন্থের দল। শুরুতে আইদেন মার্করামকে ফিরিয়ে লখনউকে ধাক্কা দিয়েছিলেন মহম্মদ শামি। কিন্তু মিচেল মার্শ ও পুরানের ব্যাটে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় লখনউ। পুরান (২৬ বলে ৭০) ছিলেন সবচেয়ে বিধ্বংসী। মার্শ করেন ৩১ বলে ৫২ রান। কামিন্স দু’জনকে ফেরালেও তা যথেষ্ট ছিল না। পন্থ (১৫) ম্যাচ শেষ করতে না পারলেও ডেভিড মিলার (১৩) ও আব্দুল সামাদ (৮ বলে ২২) অনায়াসেই কাজ শেষ করেন।
আরও পড়ুন-বাংলা কেন দেশের সেরা, তথ্য আর পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝালেন মুখ্যমন্ত্রী
উপ্পলে আগের ম্যাচেই ঈশান কিশানের ব্যাটিং তাণ্ডবে তিনশোর কাছাকাছি রান তুলেছে সানরাইজার্স। তবু সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে টসে জিতে শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন লখনউ অধিনায়ক ঋষভ। শুরুতে পরপর দু’বলে অভিষেক শর্মা (৬) ও ঈশানকে (০) আউট করে হায়দরাবাদকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন শার্দূল ঠাকুর।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ট্রাভিস হেড ও নীতীশ রেড্ডি ৬১ রান যোগ করে নির্ভরতা দেন। হেড (২৮ বলে ৪৭) ফেরার পর নীতীশ (২৮ বলে ৩২), হেনরিখ ক্লাসেন (১৭ বলে ২৬) বড় শট খেলে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। নীতীশ আউট হওয়ার পর হায়দরাবাদের রানের গতি কমে যায়।
এই সময় আগ্রাসী শট খেলে রান রেট বাড়িয়ে দেন অনিকেত ভার্মা। পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ১৩ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। শেষ দিকে তিনটি ছক্কার সাহায্যে অধিনায়ক কামিন্সের (৪ বলে ১৮) ক্যামিও হায়দরাবাদকে লড়াই করার মতো স্কোরে পৌঁছে দেয়।