লখনউ, ১৬ মে : টানটান উত্তেজনার ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৫ রানে হারিয়ে প্লে-অফের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখল লখনউ সুপারজায়ান্টস (Lucknow vs MI)।
আর লখনউয়ের এই জয়ে চাপ বাড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। গুজরাট টাইটান্স (১৮ পয়েন্ট), চেন্নাই সুপার কিংসের (১৫ পয়েন্ট) পর এবার লখনউও (১৫ পয়েন্ট) কেকেআরের ধরাছোঁয়ার বাইরে! শনিবার ইডেনে এই লখনউয়ের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ নাইটদের। যা পরিস্থিতি, তাতে সেদিন জিতলেও নীতীশ রানাদের প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা খুব কম। হেরে চাপে পড়ল মুম্বইও। ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পাওয়া রোহিত শর্মাদের শেষ ম্যাচ জিততেই হবে।
এদিন লখনউয়ের জয়ের নায়ক মার্কাস স্টয়নিস। চাপের মুখে তাঁর ঝোড়ো হাফ সেঞ্চুরি দলকে বড় রানে পৌঁছে দিয়েছিল। সুপারজায়ান্টসদের ইনিংসের শুরুতেই বড় ধাক্কা দিয়েছিলেন মুম্বইয়ের বাঁ হাতি পেসার জেসন বেহরেনডর্ফ। পরপর দু’বলে তিনি আউট করেন দীপক হুডা (৫) ও পারেখ মানকড়কে (০)। কুইন্টন ডি’ককও খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। ১৫ বলে ১৬ রান করে তিনি পীযূয চাওলার বলে উইকেটের পিছনে ঈশান কিসানের গ্লাভসে ধরা পড়েন। ফলে স্কোরবোর্ডে ৩৫ রান তুলতে না তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল লখনউ (Lucknow vs MI)।
শুরুর এই ধাক্কা সামলে দলকে টানছিলেন অধিনায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়া ও স্টয়নিস। দু’জনের মিলে ১৪ ওভারে দলের রান একশোয় পৌঁছে দিয়েছিলেন। ৪২ বলে ৪৯ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন ক্রুনাল। তবে রান এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্টয়নিস। ৩৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪৭ বলে ৮৯ রান করে নট আউট থাকেন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন রোহিত ও ঈশান। কিন্তু প্রথম উইকেটে ৯০ রান যোগ করার পর ব্যক্তিগত ৩৭ রানে (২৫ বল) আউট হন রোহিত। এরপর ঈশান (৩৯ বলে ৫৯ রান) আউট হতেই মুম্বইয়ের ইংনিসে ধস নামে। সূর্যকুমার যাদব (৭) এদিন ব্যর্থ। টিম ডেভিড (১৯ বলে অপরাজিত ৩২) অবশ্য এর পরেও মুম্বইকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছিলেন। শেষ ওভারে জেতার জন্য দরকার ছিল ১১ রানের। কিন্তু বাঁ হাতি পেসার মহসিন খানের নিখুঁত বোলিংয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় লখনউ।
আরও পড়ুন: অভিষেককে অনুরোধ, আলো জ্বলল হাইমাস্টে