সংবাদদাতা, কাটোয়া : জলাশয় বাঁচানো আর চুনোমাছের বংশবৃদ্ধি। জোড়া উদ্দেশ্যপূরণে কালীপুজো। চলে আসছে টানা ২০ বছর। নাদনঘাট থানার বড়কোবলা গ্রামে বাঁশদহ বিল আর চাঁদের বিল লাগোয়া লোহার ব্রিজের ধারে মন্দিরে। এই কালীর নাম চুনো-বিলে কালী। গোটাসাতেক গ্রামের হাজারের উপর পরিবার মৎস্যজীবী। গঙ্গায় মাছ কম মেলায় সঙ্কটে পড়ে তাঁরা বিদ্যানগর গ্রামের বাসিন্দা স্বপন দেবনাথের কাছে।
আরও পড়ুন-ভাইফোঁটার আগেই চলে গেলেন দাদা, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দুই বোনের শোকপ্রকাশ
স্বপন পরামর্শ দেন, ৬০ একর জুড়ে থাকা বাঁশদহ ও চাঁদের বিল দুটিকে সংস্কার করে চুনোমাছ চাষের। ফেলা হয় ট্যাংরা, শিঙি, মৌরলা, কই, পুঁটি প্রভৃতি। এইসব মাছচাষ করে হাসি ফোটে মৎস্যজীবীদের মুখে। খড়ের চাল দেওয়া মন্দির গড়ে শুরু করেন ‘চুনো-বিলে কালী’ পুজো।
আরও পড়ুন-কুড়ি হাজার মেট্রিকটন ধান কিনবে সরকার
ভোগে থাকে চুনোমাছ, কাঁকড়া, গুগুলির পদ। রান্না করেন ধীবর-গৃহিণীরা। মন্দিরটি এখন পাকা। প্রতিমা পাথরের। ভাসানও নজরকাড়া। বছরভর চুনোমাছের জোগান অটুট রাখার প্রার্থনায় কয়েকশো প্রদীপে সাজানো কলার ভেলায় চড়ানো হয় ‘চুনো-বিলে কালী’কে। পাত্রে রাখা হয় চুনোমাছের নানা পদের ভোগ। শাঁখ আর উলুধ্বনি দিয়ে বিলের জলে ভাসানো হয় ভেলা।