প্রতিবেদন : দেশের সার্বিক উন্নয়ন করতে হলে চাই ডাবল ইঞ্জিন সরকার। বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নিয়ম করে এই কথা বলে থাকেন মোদি-শাহ-নাড্ডা। কিন্তু যে সব রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার রয়েছে সেখানকার বাস্তব পরিস্থিতির কথা জানলে শিউরে উঠতে হয়। ডবল ইঞ্জিন চালিত মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ বা ত্রিপুরার গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবার মান এতটাই খারাপ যে, প্রায়শই বিনা চিকিৎসায় মানুষের মৃত্যু ঘটে। এবার চিকিৎসকের অভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মায়ের কোলেই প্রাণ হারাল এক নিষ্পাপ শিশু। এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) চরগাওয়ান থানা এলাকার তিনহেতা দেউড়ি গ্রামে।
আরও পড়ুন: রেড রোডে জমজমাট অনুষ্ঠানে বাংলার সংস্কৃতির ঝলক
জানা গিয়েছে, তিনহেতা দেউড়ি গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় পান্দ্রে তাঁর ৫ বছরের ছেলে ঋষি পান্দ্রেকে চিকিৎসার জন্য বারগির সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু সে সময় হাসপাতালে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। মা ও পরিবার অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দরজায় বসে থাকেন। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসক না থাকার কারণে হাসপাতালের চৌকাঠেই মৃত্যু হয় একরত্তি শিশুর। এ ঘটনায় মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ কর্তাদের কাছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ দায়ের করেছেন। শিশুটি নিজের প্রাণ দিয়ে প্রমাণ করে গিয়েছে ডবল ইঞ্জিন সরকারের (Madhya Pradesh Government) ব্যর্থতা।
মৃত শিশুটির পরিবারের দাবি, সময়মতো চিকিৎসা পেলে অকালে প্রাণ যেত না একরত্তির। ঘটনার সময় যে চিকিৎসকের ডিউটি ছিল তিনি ওইদিন বেশ কয়েক ঘন্টা দেরিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন। চিকিৎসার মতো জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থেকেও কেন তিনি দেরি করেছিলেন, সে ব্যাপারে অদ্ভুত যুক্তি দেখিয়েছেন ওই চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, স্ত্রীর উপবাসের কারণে তাঁর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছতে দেরি হয়েছিল। মোদি-শাহদের ডবল ইঞ্জিনের ঢাক পেটান যে নিতান্তই অর্থহীন তা নিজের প্রাণ দিয়ে প্রমাণ করে গেল ৫ বছরের এক নিষ্পাপ শিশু।