প্রতিবেদন : আর বছরখানেক পরেই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের পুর নির্বাচনে বড় মাপের ধাক্কা খেল বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে গত দু’দশকের মধ্যে পুরনিগমের নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে গেরুয়া দল। রাজ্যের ১৬টি পুরনিগমের মেয়র পদের মধ্যে ৭টিই হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। এগুলির মধ্যে ৫টি গিয়েছে কংগ্রেসের দখলে। একটি করে গিয়েছে আম আদমি পার্টি ও নির্দলের দখলে।
আরও পড়ুন-সংসদে তৃণমূলের প্রশ্ন ও কেন্দ্রের জবাব
মধ্যপ্রদেশে শেষবার পুর নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেবার ১৬টি পুরনিগমের মেয়র পদেই জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। কিন্তু এবার বিজেপিকে ৯টি পুরনিগমেই আটকে রাখল বিরোধীরা। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণভাবে যেসব পুরনিগমে বিজেপি পরাজিত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার গড় গোয়ালিয়র এবং আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের এলাকা জব্বলপুর। পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির সভাপতি বি ডি শর্মার নিজের কেন্দ্র মোরেনাতেও বিজেপিকে শূন্য হাতে ফিরিয়েছে আমজনতা। গোয়ালিয়রে প্রায় ৫ দশক পর কংগ্রেস জিতল। ২৩ বছর পর জব্বলপুরেও মেয়র পদ হাতছাড়া হল নরেন্দ্র মোদির দলের।
আরও পড়ুন-ফেসবুকে মত্ত বাবা, বাথটবে ডুবে মৃত্যু মেয়ের
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকারের প্রবল জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন মানুষ। পাশাপাশি বিজেপি যেভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ঘর ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল করছে সেটাও ভাল চোখে দেখেনি মধ্যপ্রদেশবাসী। তারই প্রতিফলন ঘটেছে পুরনিগমের ভোটে। লজ্জাজনক ফলাফল করে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে গেরুয়া দলকে। এদিন পুরনিগমের ফল প্রকাশ হতেই কংগ্রেসের দাবি, ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল কী হতে চলেছে, এই পুরভোটেই তা স্পষ্ট। যদিও পুরভোটের এই ফলকে হার হিসাবে দেখতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।