প্রতিবেদন : বারবার সেই একই ছবি। গতবার রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ফাইনালে উঠে হারতে হয়েছিল মনোজ তিওয়ারিদের। এবার সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিল বাংলা (Bengal)। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ১৭৪ রানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ অভিমন্যু ঈশ্বরণদের।
যে দলটি আগের ম্যাচেই বিশ্বরেকর্ড করেছিল। দলের ৯ জন ব্যাটার হাফসেঞ্চুরি করে ১২৯ বছরের রেকর্ড ভেঙেছিল। সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া অতি উৎসাহে উড়ে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে। বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরাও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। সবাইকে হতাশ করে দ্বিতীয় ইনিংসে লজ্জার ব্যাটিং বাংলার। শনিবার বৃষ্টি বিঘ্নিত পঞ্চম দিনে মধ্যাহ্নভোজের কিছু পরেই বাংলার ইনিংস গুটিয়ে গেল মাত্র ১৭৫ রানে। এই হারের পর প্রশ্ন উঠছে, বারবার কেন নকআউটে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে দলকে? সিএবি এত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও কেন বাংলা প্রতিবার ব্যর্থ হচ্ছে শেষ ল্যাপে গিয়ে? হারের ময়নাতদন্তে সিএবিকে নতুন কিছু ভাবতে হবে।
জয়ের জন্য ৩৫০ রান তাড়া করতে নেমে শেষ দিন বাংলার ভরসা ছিলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার অনুষ্টুপ মজুমদার এবং অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। কিন্তু দু’জনের জুটি সফল হয়নি। দিনের শুরুতেই অনুষ্টুপকে ফিরিয়ে দেন বিপক্ষ পেসার গৌরব যাদব। বাঁ-হাতি চায়নাম্যান স্পিনার কুমার কার্তিকেয় আউট করেন অভিমন্যুকে। ৭৮ রান করে একমাত্র লড়াই করেন বঙ্গ অধিনায়কই।
অভিমন্যু ফিরতেই বাংলার (Ranji Trophy- Bengal) লড়াই শেষ হয়ে যায়। এরপর দ্রুত বঙ্গ ব্যাটিংয়ের লেজ ছেঁটে ফেলেন মধ্যপ্রদেশের বোলাররা। ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিকারী শাহবাজ আহমেদ।
আরও পড়ুন: খেতমজুর সংগঠনের কার্যালয় উদ্বোধন করে রাজ্য সভাপতির ঘোষণা: কৃষকদের প্রকৃত বন্ধু তৃণমূল
কার্তিকেয় ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাকে ভাঙলেন। ঘূর্ণি পিচে বাকিরাও তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন। আলুরে রঞ্জি সেমিফাইনালে শুরু থেকেই ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করেছে মধ্যপ্রদেশ। তাদের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের ক্ষুরধার মস্তিষ্ক, নির্দিষ্ট গেমপ্ল্যান বাংলা দলকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে।
এই ম্যাচে বাংলার প্রাপ্তি বলতে মনোজ ও শাহবাজের দুরন্ত ব্যাটিং। শাহবাজ অবশ্য ভাল বলও করেছেন। বাংলার একমাত্র রঞ্জি জয়ী দলের অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘আসলে সেমিফাইনাল, ফাইনালের চাপটা ছেলেরা মনে হচ্ছে নিতে পারছে না। আমি মনে করি, দল নির্বাচনেও গলদ ছিল। অভিষেক রামনের জায়গায় ফর্মে থাকা কৌশিক ঘোষকে খেলানো উচিত ছিল। আর ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়কে ওরা সাদা বলের ক্রিকেটার বানিয়ে দিয়েছে। এই পিচে প্রদীপ্তর জায়গায় ওরই খেলা উচিত ছিল। তাছাড়া এত ক্যাচ মিস করলে ম্যাচ জেতা যায় না। তবু আমি এই দলটাকে নিয়ে আশাবাদী, পরের বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা রাখতেই পারি।”