দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের নৃশংস খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় দিল্লি-সহ গোটা দেশ। এরই মধ্যে সামনে এল আরও একটি চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা। প্রেমিকার গলা কেটে খুনের পর তাঁর মৃতদেহের সঙ্গে নিজের ভিডিও রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করল প্রেমিক। সঙ্গে দাবি, বিশ্বাসঘাতকতা করা উচিত হয়নি প্রেমিকার। পাশাপাশি পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করল তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য। হাড়হিম করা এই খুনের ঘটনার ভিডিও দেখে চমকে উঠেছে দুঁদে পুলিশ কর্তারাও।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh Murder) জব্বলপুরে। মৃত তরুণীর নাম শিল্পা ঝারিয়া। ২৫ বছর বয়সি ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অভিজিৎ পতিদার নামে এক যুবকের। গত সপ্তাহে জব্বলপুরে একটি হোটেলের ঘর থেকে শিল্পার গলা কাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমেই অভিজিতের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের সন্ধান পায় পুলিশ। সেখানেই একের পর এক হাড়হিম করা ভিডিও পোস্ট করেছে অভিযুক্ত। একটি ভিডিওতে অভিজিতকে বলতে শোনা গিয়েছে, তার সঙ্গে প্রতারণা করা উচিত হয়নি। এরপরেই বিছানায় রাখা কম্বল সরিয়ে শিল্পার গলা কাটা মৃতদেহ সকলকে দেখায় সে। অন্য একটি পোস্টে অভিজিৎ লিখেছে, এবার তাদের স্বর্গে দেখা হবে। ওই ভিডিওতে জিতেন্দ্রর সঙ্গেই তার সহকারী সুমিত প্যাটেলের নামও উল্লেখ করেছিল অভিজিৎ। সুমিত এবং জিতেন্দ্রকে বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পলাতক। তার খোঁজে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-খুনের কিনারায় নারকো টেস্টের অনুমতি দিল আদালত
একটি ভিডিওতে অভিজিৎ নিজেকে পাটনার একজন ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিয়েছে। সেখানে সে দাবি করেছে, তার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার পাশাপাশি তার ব্যবসার অংশীদার জিতেন্দ্র কুমারের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল শিল্পার। জিতেন্দ্রর থেকে শিল্পা ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে জব্বলপুরে পালিয়ে এসেছিল। জিতেন্দ্রর নির্দেশেই সে শিল্পাকে খুন করেছে বলেও অভিজিতের দাবি।
জব্বলপুরের (Madhya Pradesh Murder) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, ঘটনার আগের দিন রাতেই রিসর্টে চলে এসেছিল অভিজিৎ। রাতে সে একাই ছিল সেখানে। ৮ নভেম্বর শিল্পা তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাঁরা খাবারও অর্ডার দেন। কিন্তু এরই ঘণ্টাখানেক পরে রুমের দরজা লক করে সেখান থেকে সরে পালান অভিযুক্ত। পরে সন্দেহ হওয়ায় দরজা ভাঙেন রিসর্টের কর্মীরা। তখনই দেখা যায় বিছানায় শোয়ানো রয়েছে শিল্পার রক্তাক্ত দেহ।